শেষ হল পৌষ মাস। পৌষ মাসের সংক্রান্তিকেই বলা হয় 'উত্তর সংক্রান্তি' বা 'মকর সংক্রান্তি'। সোমবার পৌষ সংক্রান্তির দিন মহাস্নানেরও মহালগ্ন। ভিড় জমেছে গঙ্গাসাগরে। বাংলায় রয়েছে এই দিনের বিশেষ গুরুত্ব। এসেছে 𒐪নবান্নের অনুষঙ্গ। নতুন ফসলের উৎসব। শস্যোৎসব। নবান্নের ঘ্রাণ। নতুন ধানের ঘ্রাণ। নতুন ফস𝐆লের ঘ্রাণ। গ্রামবাংলার ঘরে এদিন ফসল ওঠে। উদযাপন হয় সেই ফসলের। আর বানানো হয় পিঠেপুলি। আপনি রান্না না জানলেও, খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন পাটিসাপটা পিঠে।
পাটিসাপটার জন্য লাগবে যে উপকরণ:
সেদ্ধ চালের গুঁড়ো (১ কাপ), ময়দা (১/২ কাপ), সুজি (১/৪ কাপ), চিনি (৩/৪ কাপ), নুন (১/৪ চা চ🀅ামচ), কোরানো🍌 নারকেল (১টি), গুড় (১ কাপ), সাদা তেল, দুধ (দেড় কাপ+১ কাপ), গুঁড়ো দুধ (২ টেবিল চামচ)
কীভাবে বানাবেন পাটিসাপটা:
একটা বাটি নিয়ে🌳 তাতে চালের গুঁড়ো, ময়দা, সুজি নিয়ে ভালো করে মেশান। এরপর দিন চিনি। তারপর নুন দিয়ে আরও কিছুক্ষণ মিশিয়ে নিন সবটা। এরপর রুম টেম্পারেচারে থাকা দুধ ধীরে ধীরে মেশাতে থাকুন ব্যাটারে। খেয়াল রাখবেন যাতে ব্যাটার কোথাও দলা না পাকিয়ে যায়। দেড় কাপ মতো দুধ লাগবে এই সময়। ব্যাটার তৈরি হয়ে গেলে তা ঢাকা দিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
এবার একটা কড়াই নিয়ে তাতে ১ কাপ দুধ দিন। দুধ গরম হয়ে এলে তার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ মেশান। গুঁড়ো দুধ মেশানোর সময়, আঁচ একেবারে কম রাখতে হবে। দুধের সঙ্গে গুঁড়ো দুধ ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পরেও আরও কিছ♕ুক্ষণ নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে তারপর গুড় মেশান। গুড় আর দুধ ভালো করে মিশে গেলে গ্যাস ফের জ্বালিয়ে দিন, কিন্তু এবারেও আঁচ কম রাখবেন। এরপর𝔍 গুড় মেশানো দুধ ফুটতে শুরু করলে কড়াইতে দিয়ে দিন নারকেল। মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট নাড়ানোর পর দেখবেন তেল ছাড়তে শুরু করেছে।
এবার ব্যাটারটা চামচ দিয়ে আরও একবার নেড়ে নিন। যদি মনে হয় ব্যাটার ঘন হয়ে গিয়েছে সামান্য একটু দুধ মিশিয়ে দিতে পারেন এতে। এবার গ্যাসে ফ্রাইং প্যান বসিয়ে গরম করে নিন। গরম হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে দেবেন। ব্যা⛦টার হাতার সাহায্যে দিয়ে দিন প্যানে। হাতার উল্টো দিক দিয়ে ভালো করে ছড়িয়ে দিন।
এবার নারকেলের পুর হাতের মুঠোয় নিয়ে ভালো করে চেপে চেপে লম্বাটে আকার🐽 দিয়ে পাটিসাপটার উপরে বসান। তারপর স্প্যাটুলা বা খুন্তির সাহায্যে রোল করে নিন।