সারা পৃথিবীতেই গত শতাব্দী থেকে বেশ কয়েক দশক জুড়ে পোলিও দূরীকরণের জন্য জোরদার ভাবে কাজ করে চলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং বিভিন্ন দেশের সরকার। একদিকে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে পরিবেশ এবং সচেতনতায়, তার সঙ্গে শিশুদের পোলিও টিকা বাধ্যতামূলক ভাবে খাওয়ানোর দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রের তরফে। ভারতের মতো দেশ পোলিও দূরীকরণে সফল হয়ে বাকি অনেক দেশের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়েছে। তবে আফ্রিকার মালাউই দেশে গত পাঁচ বছরে প্রথমবার পোলিও আক্রান্তের খবরে চিন্তায় পড়েছে স্বাস্থ্যমহল। একদিকে যখন করোনার নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে নাকানিচোবানি খ♉াচ্ছে সবাই, সেখানে পোলিও আক্রান্তের ঘটনা ভাবনায় ফেলেছে। ভুললে চলবে না আফ্রিকা মহাদেশেে অনেক দেশই রয়েছে, যেখানে সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নড়বড়ে। পোলিওর ফিরে আসা অশনিসংকেত সেখানে!
আফ্রিকার মালাউই দেশে🔯র রাজধানী লিলংওয়েতে একটি শিশুর শরীরে ধরা পড়েছে পোলিও ভাইরাস। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মাসে তিন বছরের এই মেয়েটির শরীরে অসাড়তা দেখা গিয়েছিল। এর পরে বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায় যে, মেয়েটি পোলিওতে আক্রান্ত।
এখানে উল্লেখ করার বিষয় হল, শিশুটির শরীরে পোলিওর যেই স্ট্রেন পাওয়া♋ গিয়েছে, সেটি সম্ভবত পাকিস্তান থেকে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তানে পোলিওর ঘটনায় একইরকম স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল। স্বস্তির কথা যে WHO এখনই একে মহামারি হিসাবে ভাবছে না। ওই এলাকায় ♛যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেখা হচ্ছে, কোনওভাবেই যেন এই ভাইরাস ছড়াতে না পারে।
এরই মধ্যে গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকেশন ইনিসিয়েটিভের কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছে গিয়েছে ওখানে। এর আগে আফ্রিকা মহাদেশে পোলিও আক্রান্ত হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল ২০১৬ সালে উত্তর নাইজেরিয়ায়। বলাই🎃 বাহুল্য পোলিও একটি ছোঁয়াচে রোগ যেটি খুব দ্রুত ছড🔯়িয়ে পড়ে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। সারা শরীর অসাড় করে দিতে পারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে।
বর্তমানে পৃথিবীতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তা রয়েছে। ২🌳০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পাকিস্তানে ১২৯ জন পোলিও আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছিল। তবে আশার কথা হল যে ১৯৮৮ থেকে সারা পৃথিবীতে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯৯ শতাংশ।
বর্তমানে পোলিও সংক্রমণের সিংহভাগই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। এই দু🅷’টি দেশের প্রধান সমস্যা হল তৃণমূল স্তরে পোলিওর টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। যুদ্ধ ও সংঘর্ষ কবলিত আফগানিস্তানে আবার সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই প্রশ্নের🦋 মুখে এবং অগুনতি শিশু তাই চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে।
তবে ভীতি বা এড়িয়ে যাওয়া নয💙়, পোলিওর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজন হল সতর্কতা। সমাজের প্রতিটি স্তরেই বিজ্ঞান নির্ভর স্বাস্থ্য সচেতনতা, বাধ্যতামূলক টিকাকরণ এবং সুরক্ষাই পারে পোলিও মহামারি আটকাতে।