বর্ষা চলে এসেছে। আর ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি মানেই মশার লার্ভা জন্মানোর একেবারে উপযুক্ত সময়। ইতিমধ্য়ে পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায় এই মশার লার্ভা রোধে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সেই পরিস্থিতিতে এবার বড় ‘টোটকা আবিষ্কার ’ক🔜রল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।
বর্তমান সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, পাকা পেঁপের বীজ ও একটি রাসায়নিকের মাধ্য়মে ডেঙ্গি মশার লার্ভ🔴া রোধ করা যাবে।
কীভাবে এটা সম্ভব?
✃ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র জানিয়েছেন, প্রথমে পাকা পেঁপের কালো বীজ থেকে নির্যাস বের করতে হবে। বিজারক হিসাবে তা ব্যবহার করতে হবে সিলভার নাইট্রেট নামে একটি রাসায়নিকের সঙ্গে। এর ফলে সিলভার ন্যানো পার্টিকেল তৈরি হবে। সেটাই জলে দিলে মশার লার্ভা নষ্ট হয়ে যাবে।
এমনকী পরীক্ষামূলকভাবে তা প্রমাণিত হয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে তার পেটেন্টও চলে এসেছে বলে খবর। সব মিলিয়ে গোটা রাজ্য যখন মশা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছে তখনই সামনে এল ঘরোয়া টোটকার মাধ্য়মে ডেঙ্গির মশার লার্ভা নিধনের সহজ উপায়।
তবে সবথেকে বড় বিষয় হল এই ধরনের তরল যদি ব্যবসায়ীক ভিত্তিতে করা হয় তবে সেটার খর▨চও বিশেষ পড়বে না। এবার কোন সংস্থা এই ধরনের সামগ্রী তৈরিতে এগিয়ে আসে সেটাই দেখার। এই ধরনের সামগ্রীর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
নানা সময়ে দেখা যায় যে ঘরের ফ্রিজের পেছনে যেখানে জল জমা হয় সেখানে মশার লার্ভা জন্মানোর সুযোগ থাকে। সেই সঙ্গেই ফুলদানির জলেও মশার লার্⭕ভা জন্মাতে পারে। আবার টায়ারে জমে থাকা জলে, ডাবের খোলায়, ভাঙা কলসিতে জমে থাকা পরিস্কার জলে মশার লার্ভা হতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে যদি ওই নির্দি🥂ষ্ট দ্রব্যটি মেশানো হয় তবে মশার বংশ নির্বংশ হবে।
এই ধরনের যে সামগ্রী ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে সেই পেঁপের বীজও সহজেই সংগ্রহ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে প্রকৃত প্রশিক্ষণ ছাড়া বাড়িতে এই ধরনের সামগ্রী🙈 তৈরি না করাটাই মঙ্গল। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে এনিয়ে শিক্ষা নেওয়ার পরেই তা প্রয়োগ করা যেতে পারে।
এদিকে এবার বাংলায় মশার লার্ভা নিধনের ক্ষেত্রে এই নতুন আবিষ্কার কতটা কাজে লাগে সেটাই এখন দেখার। কোনও বাণিজ্যিক সং🍒স্থা যদি এই ধরনের সামগ্রী তৈরি করতে পারে তাহলেই𝐆 সার্বিকভাবে বহু মানুষের উপকার হবে।