দেখতে দেখতে চলে এল মহালয়া। মানে ক🍨ড়া নেড়ে গেল বাঙালির বিশেষ উৎসব দুর্গাপুজো! আর দিন কয়েক পর থেকেই ভিড় জমবে প্যান্ডেলে, বন্ধুর বাড়িতে কিংবা শপিং মলের ফুড কোর্টে। অনেকেই আছেন যাঁরা কাজের চাপে পার্লার মুখো হওয়ার সময় পাননি। ফলে সারা বছর অযত্নে থাকা ত্বকে পড়ছে কালচে ভাব! কারও আবার ট্যানিং-র স𒁏মস্যা। এই শেষ মুহূর্তে ত্বকের হাল ফেরাতে ভরসা রাখতে পারেন মুসুর ডালে।
মা-দিদিমাদের টোটকায় ত্বকচর্চায় মুসুর ডালের জুরি মেলা ভার। মুখের ট্যান দূর করা থেকে মুখের বাড়তি রোম কমানো বা ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে ব্যবহার করতে পারেন মুসুর ডাল। আপনার জন্য রইল মুসুর ডাল দি🌟য়ে রূপচর্চা করার সহজ কয়েকটি হদিশ।
সবক্ষেত্রেই মুসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে আরও একবার ধুয়ে পরিষ্কার শিল-নোড়া বা মিক্সিতে বেটে নিন।
১. মুসুর ডাল বাটা নিন হাফ কাপ। এবার তাতে গুঁড়ো দুধ মেশান দু'চামচ। এবার সেই মিশ্রণ নিয়ে মুখ ভালো করে ঘষে নিন। তবে অব🌞শ্যই আলতো হাতে। এতে মুখে জমে থাকা সমস্ত মৃত কোষ দূর হবে। আপনার♕ ত্বকেও আসবে জেল্লা।
২. ট্যান পড়ে গিয়েছে বলে চিন্তিত? এক্ষেত্রেও আপনার মুশকিল আসান করবে মুসুর ডাল। তিন টেবিলচামচ মুসুর ডাল বাটা, তিন টেব൲িলচামচ টক দই আর একই পরিমাণ বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর তা মুখে লাগান। চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন মিনিট ১৫। তারপর ꦺঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩. যদিও এটা পুজোর আগে করলে সাথে সাথেই উপকার পাবেন না! তবে, মেনে চললে মাসখানেকের মধ্যেই বুঝতে পারবেন ফলাফল। ঠোঁটের উপরে বা গালে অবাঞ্ছিত রোমের জন্য লজ্জায় পড়তে হয় অনেককেই। মুসুর ডালের নিয়মিত ব্যবহারে তা কমিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে। এক চাচামচ মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক চা চামচ বেসন, এক চা চামচ চালের গুঁড়ো আর কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তারপ🎐র তা🐻 ধোয়া মুখে লাগান। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে রগড়ে রগড়ে তুলে ফেলুন। কিছুদিন করলেই দেখবেন রোমের গ্রোথ কমতে শুরু করেছে।
৪. মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে মধু মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। বিশেষ করে যাঁদের ড্রাই স্কিন। মধু ত্বককে নরম ও আদ্র রাখবে। আর মুসর ডাল নিয়ে আসꦬবে ঔজ্জ্বল্য ও সতেজ ভা♛ব।