✃ মৃগী রোগ একটি স্নায়বিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ হঠাৎ খিঁচুনি শুরু হয়। চিকৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে নিউরোলজিক্যাল ডিজিজ বলে। এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা যায় না। তবে মনে করা হয় ব্রেন স্ট্রোক, মস্তিষ্কের ত্রুটি, মস্তিষ্কে আঘাত বা কোনও ধরনের সংক্রমণের কারণে মৃগী হয়ে থাকে।
🀅শিশুদের থেকে শুরু করে বয়স্কদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা চলতে চলতে অজ্ঞান হয়ে যায় বা খিঁচুনি আসে। এমন অনেক দৃশ্য আমার সিনেমায় দেখে থাকি। কিন্ত আমাদের এর কারণগুলো জানা নেই। অনুমান করা হয় জনসংখ্যার ১% মৃগী রোগে আক্রান্ত। মৃগী রোগে হঠাৎ করে মস্তিষ্কে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায়। তাঁদের আচরণে দেখা যায় অস্বাভাবিকতা। এই অস্বাভাবিকতাগুলি হঠাৎ করেই হয় এবং মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকে বন্ধ করে দেয়।
🐽২৬ মার্চ আন্তর্জাতিক মৃগী রোগ সচেতনতা দিবস। তাই এই নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। কীভাবে সচেতন হওয়া যায় বা কী কী জিনিস এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা আগাম জেনে নেওয়া ভালো।
কীভাবে বুঝবেন মৃগী রোগের লক্ষণ
ಌযখন দেখবেন আক্রান্ত ব্যক্তির সারা শরীর শক্ত যাচ্ছে।
💃হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। তবে তা বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হয় না।
অজ্ঞান হওয়ার পাশাপাশি আসবে অস্বাভাবিক খিঁচুনি।
দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়া।
𒁃খিঁচুনির পর মাথাব্যথা। দুর্বল হয়ে শুয়ে থাকা ইত্যাদি।
♛মস্তিষ্কের বেশ কিছু কোষ এর জন্য দায়ী হতে পারে। মস্তিষ্কেকে মধ্যে অস্বাভাবিক ঝটকা এর কারণ। এই বৈদ্যুতিন ঝটকা যখন মস্তিষ্কের ছড়িয়ে পরে তখনই অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনির মতো গুরুতর লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
মৃগী রোগের চিকিৎসা কী?
ღড্রাগ থেরাপি এই রোগের জন্য ভালো। এই থেরাপি মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যকলাপ কমিয়ে দেয়। তবে রোগী যেন নিয়মিত ওষুধ খায় সেই দিকে নজর দিতে হবে।
꧒ড্রাগ থেরাপি কার্যকর না হলে, যদি পরীক্ষায় ব্রেন টিউমারের মতো লক্ষণ ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে অপারেশন করা যেতে পারে।
🌊আরেকটি পদ্ধতি হল বৈদ্যুতিক পেসমেকার, যা খিঁচুনিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
൲তবে এটি যদি খুবই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত।