মহিলাদের মধ্যে এখন ওভারিয়ান ক্যানসারের থেকেও বেশি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। এই মুহূর্তে সর𝄹্বাধিক সাধারণ ক্যানসারের তালিকায় ভারত চতুর্থ থেকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। WHO মতে, ২০২২ সালে ২.৩ মিলিয়ন নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৭০,০০০ জন।
স্তন ক্যানসার শুধু নারীদ🌠ের জন্য বিপদ ডেকে আনে তা নয়, এটি ছেলেদের শরীরেও হতে পারে। সময়মতো এই রোগেℱর চিকিৎসা করানো গেলে সুস্থ থাকার হার অনেক বেড়ে যায়। কাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি সবথেকে বেশি, কীভাবে আপনি সচেতন থাকতে পারবেন? কীভাবে এই রোগ নিরাময় সম্ভব। জানুন সবটাই।
(আরও পড়ুন: পুরুষকে মেনে চলতে হবে এই ৫ ট🐟ি নিয়ম, তবেই কিছুটা নিরꦚাপদ থাকা যাবে ক্যানসার থেকে)
Dr.Vishesh Gumdal এই প্রসঙ্গে বলেন, "যেহেতু একেবারে প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়ে গেলে ক্যানসার সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়া সম্ভব, তাই স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক সনাক্তকরণের প্রয়ꦐোজন রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি চিকিৎসা হয়ে যায় তাহলে কোনও সমস্যা হয় না।"
স্তন ক্যানসারের লক্ষণ বুঝতে দেরি হওয়া এবং সচেতনতার অভাবের জন্য এই ক্যানসার বিশাল আকার ধারণ করে ফেলে। স্তনে পিন্ড থাকা বা স্তন বৃন্ত থেকে সাদা স্রাব নিঃসরণ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শুধু মেয়েদের জন্য নযဣ়, এই সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত ছেলেদের মধ্যেও।
স্তন ক্যানসার হয়েছে নিশ্চিত হবেন কীভাবে?
ডক্টর পিকে জুলকা স্ত𓂃ন ক্যানসারের লক্ষণ গুলির কথা বিবরণ করতে গিয়ে বলেন, “স্তন ক্যানসার যে কোনও সামাজিক স্তরের মহিলা🌌দের শরীরে হতে পারে। তবে প্রত্যেক মহিলারই স্তন ক্যানসার হবে এমন কোনও কথা নেই। সব থেকে বেশি ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এছাড়া পরিবারের যদি কেউ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, সে ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় দুই থেকে চার গুণ।"
(আরও পড়ুন: মুড়ি বা ভাতের সাথ✨ে রোজ খাচ্ছেন আচা💮রের তেল, উপকার হচ্ছে নাকি অপকার)
ডক্টর জুলকা আরও বলেন, “বংশগত কা🎐রণ ছাড়াও পরিবেশগত কারণ, হরমোনের অভাব অথবা পুষ্টির অভাবের 🔜কারণে স্তন ক্যানসার হতে পারে। এছাড়া তাড়াতাড়ি ঋতুস্রাব হয়ে যাওয়া, দেরিতে মেনোপোজ হওয়াও স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী।"
স্তন ক্যানসার আটকানোর সব থেকে বড় উপায় হল সচেতন হওয়া। প্রত্যেক মহিলারই বাড়িতে মাঝে মধ্যღে স্তন পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। কোনও রকম মাংসপিণ্ড যদি হাতে থাকে বা স্তন বৃন্তের আকার বা রঙ যদি পাল্টে যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপ💯ূর্ণ।
স্তন ক্যা𝔍নসারের ঝুঁকি কমানোর জন্য সর্বপ্রথম নিজের জীবনযাত্রায় বদল আনতে হবে। মদ্যপান, ধূমপান একেবারে ত্যাগ করে দিতে হবে। ওজন রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। শারীরিক ব্যায়াম, বুকের দুধ খাওয়ানো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একজন মেয়ের শরীরের জন্য। আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আপনাকেই স্তন ক্যানসারের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে।