টিউশনে ক্লাসের দিদিমণি বলেছিলেন, পরীক্ষায় পাশ♍ করা সম্ভব হবে না। জীবনে কিছুই করে ওঠা সম্ভব হবে না। কোনও স্বপ্নপূরণ হবে না। কোথাও ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে না। এর পরেও সব কিছু করে দেখালেন এক ছাত্রী। আ সেটি তিনি জানিয়েছেন তাঁর সেই দিদিমণিকেও। ছাত্রীর মেসেজটি হালে Viral হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই মেসেজের স্ক্রিনশট। কী লেখা রয়েছে তাতে? দেখা গিয়েছে এই ছাত্রী তাঁর দিদিমণিকে মেসেজ করে প্রথমে জানতে চেয়েছেন, সেটি আশা ম𓄧্যাডামের নম্বর কি না। ‘Good afternoon, is this Asha ma'am's number?'— এটি দিয়েই শুরু হয়েছে মেসেজ। তার পরে উলটো দিক থেকে সম্মতি পাওয়ার পরে ছাত্রী লিখেছেন তাঁর বক্তব্য। কী লিখেছেন তিনি?
তাঁর কথায়, ‘২০১৯-২০২০ সালের ক্লাস টেনের ব্যাচে আমি আপনার কাছে পড়তাম। আপনাকে এই মেসেজটা পাঠাচ্ছি, কারণ আপনি বলেছিলেন, আমি পাশ করতে পারব না। আ🥃মি বলেছিলেন, আমি স্কুলের গণ্ডি পেরোতে পারব না। এবং আমি যা চাই, তার কিছুই করতে পারব না। আপনি সব রকমভাবে আমাকে ছোট করেছিলেন।’
এর পরেই ছাত্রী জানিয়েছেন, তিনি ১২ ক্লাস পাশ করেছেন। শুধু পাশই করেননি, ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন। সেখানেই শেষ নয়। এর পরে ছাত্রী দাবি করেছেন, অত্যন্ত ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে💙 তিনি স্থান পেয়েছেন। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন, যেখানে তিনি পড়তে চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, এমন কোর্স পড়ার সু🐷যোগও পেয়েছেন, যেটি তিনি চাইতেন।
মেসেজের এর পরের অংশটাই আরও বেশি করে ভাইরাল হয়ে গিয়🌄েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ছাত্রী লিখেছেন, ‘এটা কোনও ধন্যবাদ জানানোর মেসেজ নয়। বরং এই মেসেজটি আপনাকে পাঠাচ্ছি, কারণ আমি আপনাকে জানাতে চাই, আপনি বলেছিলেন, 🎀আমি পারব না। কিন্তু তার পরেও আমি করে দেখিয়েছি।’
ছাত্রী এর পরে লিখেছেন, ‘পরের বার থেকে দয়া করে সকꦓলের সঙ্গে ভালো এবং ভদ্র ব্যবহার করবেন। বিশেষ করে সেই সব মা𒅌নুষের সঙ্গে, যাঁরা আপনার সাহায্য চাইতে আসেন।’
এই মেসেজটি বিপুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, উত্তের সেই দিদিমণি কী বলেছেন। সেটিও জানা গিয়েছে। তাঁর পুরো বক্তব্য জানা না গেলেও খণ্ডবিশে🐎ষ দেখা গিয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি এর পরেও কৃতিত্বটা নেব। তোমার পাশ ক🃏রার।’
তবে অনেক🔯েই লিখেছেন, এমন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, যꦦাঁদের অপমানের চোটে বহু পড়ুয়াই হীনমন্যতায় ভোগেন। এটি মোটেই কাম্য নয়।