পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রা, জগন্নাথ দেবꦯের মহিমা প্রচার করে। আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে, কয়েকদিন আগেই মাসির বাড়ি পৌঁছেছিলেন জগন্নাথ। এবার তাঁর ফেরার পালা। উল্টো পায়ে রথ ফিরবে পুরীতে। কিন্তু নয় দিনের মাথায় মাসির বাড়ি থেকে ফিরেও মন্দিরে প্রবেশ করেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚন না তিনি। তিন দিন বাইরেই থাকেন। কিন্তু কেন? রয়েছে অন্য গল্প।
কেন তিনদিন মন্দিরে প্রবেশ করেন না জগন্নাথ
মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পর বাইরে থাকে বিগ্রহ। কা🍒রণ এই তিন দিন তাঁদের রথে বসিয়েই পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। মাসির বাড়ি থেকে আটদিন কাটিয়ে ফিরে আসার পর রীতিমত সমারোহের সঙ্গে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম মন্দিরে প্রবেশ করেন।
১১-১২ দিনের মাথায় অন্য উৎসব
- একাদশী তিথিতে পালিত হয় সোনাবেশ। এদিন জগন্নাথ সহ সুভদ্রা বলরাম সেজে ওঠেন নানা সোনার গয়নার সাজে।
- দ্বাদশীর সন্ধ্যায় পালিত হয় অধরপনা। রীতি মেনে, এইদিন জগন্নাথদেবকে শরবত খাওয়ানো হয়।
- ত্রয়োদশীর দিন পালিত হয় রসগোল্লা উৎসব। এদিন মিষ্টি মুখ করেন জগন্নাথদেব। কয়েকশ হাড়ি রসগোল্লা, ভোগ খান তিনি।
- সবশেষে নীলাদ্রিবিজয় উৎসবের মাধ্যমে এই সমস্ত রীতি রেওয়াজ সম্পন্ন হয়। এরপরেই তিন দিন পেরিয়ে, জগন্নাথ সুভদ্রা ও বলরামকে পুরীর মন্দিরের মূল রত্নবেদিতে ফের স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: (Brain-eating amoeba: সাঁতার কাটতে গিয়ে বিপত্তি, ‘ব্রেন ইটিং’ অ্যামি💧♉বায় আক্রান্তের মৃত্যু পাকিস্তানে)
কবে থেকে শুরু হয়েছিল এই উৎসব
পুরাণ বলে, প্রায় ২০০০ বছর আগে রথযাত্রা ও 🅷উল্টোরথ যাত্রার প্রচলন হয়েছিল। ওড়িশার প্রা🌱চীন পুঁথি, ‘উৎকলখণ্ড’ এবং ‘দেউল তোলা’তে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার ইতিহাস সম্পর্কে অনেক তথ্য রয়েছে। বলা হয়েছে যে, এই রথযাত্রার প্রচলন সত্যযুগে। তখন ওড়িশার নাম ছিল মালবদেশ। সেখানকার অবন্তীনগরী রাজ্যে ইন্দ্রদ্যুম্ন নামে এক সূর্যবংশীয় রাজা ছিলেন। পরম বিষ্ণুভক্ত ছিলেন তিনি। একবার ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার জগন্নাথ দেবের মূর্তি গড়ে রথযাত্রা শুরু করার আদেশ পেয়েছিলেন তিনি। স্বপ্নেই নাকি এ আদেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপর থেকেই ইন্দ্রদ্যুম্ন রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, র𒊎থযাত্রার দিনের মতোই উল্টোরথেও পুরীতে কড়া সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ভিড় সামলানোর জন্য ভক্তদের সমাবেশেও কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি ক🔥রেছে ওড়িশা সরকার।