ভায়াগ্রা নামে পরিচিত 🦩সিলডেনাফিল, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। মস্তিকের উপর সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যৌন ক্ষমতা বর্ধক এই ওষুধটি, সেই সমস্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, যাঁদের ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ভারতে ৫.৩ মিলিয়ন মানুষ ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যক্তির ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া রয়েছে। আর এই ভায়াগ্রা ওষুধটি স্মৃতি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানেও ব্যাপক সাহায্য করতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন।
কী বলছেন বিজ্ঞানীরা
উলফসন সেন্টার ফর প্রিভেনশনের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ অ্যালাস্টার ওয়েব বলচেব, এই প্রথম পরীক্ষা, যা দেখায় যে সিলডেনাফিল, এই অবস্থার মানুষের মস্তিষ্কের রক্তনালীতে প্রবেশ করে রক্ত প্রবাহের উন্নতি করে। আল্ট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যান করে বিজ্ঞানীরা দেখেছไেন যে সিলডেনাফিল বড় এবং ছোট, মস্তিষ্কের যে কোনও ভেসেলেই রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রাখে। সিলডেনাফিল, সিলোস্টাজলের তুলনায় কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
এর মধ্যে, স্ট্রোক আক্রান্ত মান🧜ুষের মধ্যে সিলডেনাফিলের প্রতিক্রিয়া দেখতে বিজ্ঞানীরা ট্রায়ালে ৭৫ জন অংশগ্রহণকারীকে একত্রিত করেছিলেন, যাঁদের ছোটখাটো স্ট্রোক হয়েছিল। প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে সিলডেনাফিল, একটি প্লাসিবো এবং সিলোস্ট্যাজল, তিন সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছিল। ওষুধের প্রভাব মূল্যায়ন করার জন্য, গবেষণায় কার্ডিওভাসকুলার ফিজিওলজি পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ডের পাশাপাশি কার্যকরী এমআরআই স্ক্যানের ব্যবস্থা করেছিলেন, সেখান থেকেই সবটা পরিষ্কার হ🧜য়েছে।
ভায়াগ্রা আসলে কী
ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে আক্রান্ত পুরুষদের চিকিৎসায় ভায়াগ্রা অপ্রতিরোধ্য। এটি খেলে পুরুষ লিঙ্গে অস্থায়ীভাবে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। একটি ভায়াগ্রা পিলের প্রভাব আধা ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এই ওষুধটি শুধಞুমাত্র পুরুষরাই ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটি একবারে মাত্র একবারই নেওয়া উচিত। ভায়াগ্রা পেশীতে রক্তনালীকে উদ্দীপিত করে। যার কারণে রক্ত চলাচল দ্রুত হয়।
আরও পড়ুন: (Bi🎐zarre Video: নিজের রক্ত খাওয়ান মশাদের! জীববিজ্ঞানীর ভয়ঙ্কর কাণ্ড দেখে আতঁকে উঠবেন, ভি🉐ডিয়ো ভাইরাল)
ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া কী
ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া হল এমন একটি অবস্থা, যা স্মৃতিশক্তি, যুক্তি, পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ফাংশনগুলিকে অক্ষম করে দিতে পারে। তার অর্থ হল ভাস্কুলার ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগী, এমনকি দৈনন্দিন কাজগুলোও ভুলে যেতে শুরু করেন। এই ধরনের ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ হ্রাসের কারণে ঘটে থাকে সাধারণত, যার ফলে মস্তিষ্কের টিস্যুও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি মস্তিষ্কের প্যারেনকাইমার মতো কার্যকরಌী টিস্যুকে প্রভাবিত করতে পারে। রক্তনালীগুলির ক্ষতি মস্তিষ্কের এমনই বেশ কিছু অংশের ক্ষতি করে বসে যে, এর ফলে ভাস্কুলার ডিমেনশিয়াও দেখা দেয়। সাধারণত এই রোগে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্য🧜ক্তিরা কাবু হয়ে পড়েন।
ভাস্কুলার ডিমেনশিয়ার কারণ কী কী
১) স্🗹ট্রোক হলে বড় বা ছোট, মস্তিষ্কের টিস্যꦇুগুলিকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
২) এথেরোস্ক্লেরোসিসও ভাস্কুলার ডিমেনশিয়ার কারণ হতে পারে,💞 কারণ এটি মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ ཧহ্রাস করে।
৩) যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলꦯ বা ধূমপান করার অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: (Study ♔On Elephant: হাতিরও মানুষের মতো নাম আছে! একে 🐻অপরকে ডাকে নাম ধরেই, দাবি করছে সমীক্ষা)
ভাস্কুলার ডিমেনশিয়ার লক্ষণগুলি কী কী
১) আলঝেইমার।
২) নতুন জিনিস শিখতে অসুবিধা হওয়া।
৩) হাঁটা ধীরগতি হয়ে যাওয়া।
৪) চিন্তাশক্তি কমে যাওয়া।
৫) হাঁটতে সমস্যা হওয়া।
৬) অস্থির চলাফেরা।
৭) সবসময় শরীরের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করা।
৮) হঠাৎ বা ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ।
৯) প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।
১০) কোনও কিছুতে মনোযোগ দিতে সমস্যা।