কারও কারও ভাগ্যে এমনই ঘটে। না চাইতেও হাতে এসে পড়ে বিরাট টাকা। আর তা যে কোথা থেকে এসে যায়, তিনি নিজেও জানেন না। সেক্ষেত্রে পুরোটাই ভাগ্যকে কৃতিত্ব দেওয়া ছাড়া আর কিছু করারও থাকে না। হালে এমনই ঘটনা ঘটেছে এক মহিলার সঙ্গে। মোটামুটি ৩০০ টাকার দরে একটি ফুলদানি কিনেছিলেন তিনি। কয়েক দিনের মধ্যে সেটি তিনি বিক্রি করতে পারলেন প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকায়। একে সৌভাগ্য ছাড়া আর কী বলবেন? দেখে নেওয়া যা🌌ꩲক, ঘটনাটি কী ঘটেছে?
(আরও পড়ুন: গোলাপ জাম দ💝িয়ে কফি! অভাবনীয় রেসিপি নিয়ে হাজির কলকাতার এই ক্যাফে)
হালে আমেরিকার এক মহিলার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর নাম জেসিকা ভিনসেন্ট। একটি সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসের দোকানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে 🍸পছন্দ হয়ে যায় একটি ফুলদানি। তিনি জানিয়েছেন, ‘দেখেই মনে হয়েছিল, জিনিসটি বেশ পুরনো এবং দামি।’ কিন্তু বেশ সস্তাতেই সেটি কেনেন তিনি। ৪ ডলারেরও কম দামে। ভারতীয় টাকায় ৩০০ টাকার মতো।
ফুলদানিটি বাড়িতে নিয়ে এসার পর থেকেই সে🃏টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন জেসিকা। ফেসবুকের গ্রুপে নানা জিনিস জিজ্ঞাসা করেন। তাতে ধীরে ধীরে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। অনেকেই বলেন, এটি ইতালির ভেনিসে তৈরি। তলায় ‘এম’ অক্ষর দেখে এটিও বোঝা যায়, ওটি ভেনিসের মুরানো দ্বীপে বানানো। তবে গল্পের শেষ এখানেই নয়।
(আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে সূর্যগ্রহণ কেমন দেখায়? কে✱মন দেখতে অরোরা? রইল নাসার নজরকাড়া ছবি)
এর পরে স্থানীয় এক নামকরা নিলামঘরে যোগাযোগ করেন জেসিকা। তাদের ছবিও পাঠান। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে তথ্য। এই ফুলদানির নির্মাতা ভেনিসের বিখ্যাত কাচ-শিল্পী কারলো স্কার্পার। আর সেটি জানার পরেই নিলামঘরের প্রধান রিচার্চ রাইট তাঁকে বলেন, এই ফুলদানিটি নিলামে☂ তুলতে। তাতেই বাজিমাত।
(আরও পড়ুন: কীভাবে শুরু হল ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি’ট্রেন🧜্ড?🐽 খোঁজ মিলল সেই ভিডিয়োর, দেখুন এখানে)
রাইট অকশন হাউজের তরফে এই ফুলদানিটি নিলামে তোলা হয়। তাতে দাম পৌঁছে যায় ১ লক্ষ মার্কিন ডলারে। ভারতীয় টাকায় হিসাব করলে সেটি প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা। তবে গোটা টাকাটা একা পাননি জেসিকা। ভাগ হয়ে🦂ছে নিলামঘরের সঙ্গেও। তবুও তাঁর হাতে যা এসেছে, সেটিও কম নয়। তাও প্রায় ৮০ হাজার ডলারের উপর। মানে গোটা দামের ﷺ৮০ শতাংশের চেয়েও বেশি।
(আরও পড়ুন: এক সময়ে দুই অফিসে কাজ করেন, বছর গেলে কোটি টাকা আয়, বড় জা🔯দু দেখাচ্ছেন এই তরুণ)
জানা গিয়েছে, ওই ফুলদানিটি ১৯৪২ সাল 🃏নাগাদ তৈরি। কারলো স্কার্পা সেই সময়ে সামান্য কয়েকটি ফুলদানি ডিজাইন এবং তৈরি করেছিলেন। এটি খুবই বিরল বলেও জানা গিয়েছে।