প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। পাহাড়ের ধার ঘেঁষে শুরু করেছিলেন রিল বানাতে। কথা ছিল, মহিলা ড্রাইভ করবেন, আর ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজবে। কিন্তু এই শখ যে পূরণ করতে গিয়ে জী🥃বনটাই দিয়ে দিতে হবে, এটা ভাবতেই পারেননি কেউই। সামান্য অসাবধানতার জন্যই একটা বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে, মর্মান্তিক ভাবে। সেই ভিডিয়োও ভাইরাল হ𒐪য়েছে।
জানা গিয়েছে, মেয়েটির বয়স ছিল ২৩ বছর। মহারাষ্ট্রের, ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের, হনুমাননগরের বাসিন্দা তিনি। নাম শ্বেতা দীপক সুরভাসে। এদিনের মর্মান্তিক ঘটনায়, গাড়িটি চালাতে গিয়ে ৩০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন শ্বেতাꦆ। এক বিকেলে সুন্দর সুলি ভঞ্জন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার একটি ভিডিয়ো দেখে রীতিমত হতভম্ব প্রত্যেকেই।
আরও পড়ুন: (Cancer Prevention: পুরুষকে মেনে চলতে হবে এই ৫ টি নিয়ম, তবেই কিছুটা নিরাপদ থাকা যাবে কও্যানসার থেকে)
রিল তৈরি করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল
একটি রিপোর্ট অনুসারে, এদিন সুলি ভঞ্জন এলাকার দত্তধাম মন্দিরে ঘুরতে গিয়েছিলেন শ্বেতা। গাড়ি চালানোর সময় তিনি একটি রিল তৈরি করতে চেয়েছিলেন। শ্বেতার বন্ধু শিবরাজ সঞ্জয় মুলে তাঁর ভিডিয়ো করে দিচ্ছিলেন। এদিন শ্বেতা ভুল শত, গাড়ির ব্রেক না কষে এক্সিলারেটর চেপেছিলেন, যার কারণে গাড়িটি রিভার্স গিয়ারে চলে গিয়েছিল এবং এরপর মেয়েটি🀅র পা এক্সিলারেটরে পড়তেই, গাড়িটি দুরন্ত গতিতে পিছনের দিকে যেতে শুরু করেছিল। শ্বেতা গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করেও পারেননি। পাহাড়ের ধারে কোনও প্রাচীর ছিল🍃 না, তাই গাড়িটি শ্বেতাকে নিয়ে সোজা গভীর খাদে পড়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন শ্বেতা।
দুর্ভাগ্যজনকꦐ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ। গাড়িটি যেখানে পড়েছিল, সেই খাদে পৌঁছোতে উদ্ধারকর্মীদের প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছিল। এরপর খাদ থেকে গাড়িটি টেনে নিয়ে মহিলাকে চিকিৎসার জন্য খুলতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও, কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন মেয়েটিকে।
উল্লেখ্য, সুলি ভঞ্জনের দত্তধাম মন্দির এলাকাটি, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত। এলাকাটি বর্ষাকালে আরও জমজমাট হয়ে ওঠে। প্রচুর সংখ্যক ভক্ত ও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। শ্বেতাও এদিন এলাকার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজের মোবাইল ꦉফোনে রিল বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপরেই এই দুর্ঘটনা। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে মন্দিরের চারপাশে একটি নিরাপত্তা প্൩রাচীর বা লোহার রেলিং থাকলে খুবই ভালো হত। এই রেলিং নেই বলেই, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে।