সহকর্মীরা স্যান্ডউইচ খেতে পারবেন না, পিজ্জা খাবেন, তাই ইচ্ছাকৃতভাবে ফ্লাইট লেট করিয়েছেন পাইলট। ফ্লাইট এক ঘণ্টা দেরি হওয়ার জন্য পাইলটের কারণ শুনে হতবাক যাত্রীরা। হতাশ যাত্রীদের কাছে ফ্লাইট বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করার সময় পাইলটের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। পাইলট বলেছেন যে তিনি এই বিলম্বের জন্য দায়ী। যাঁরা বোর্ডে দেওয়া স্যান্ডউ꧑ইচ খেতে পারেননি, সেই সমস্ত কেবিন ক্রুদের জন্য খাবার কিনতে গিয়েই এতಌটা লেট হয়েছে। তবে ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে এবং পাইলটের নাম কী ছিল তা এই ভিডিয়োতে বলা হয়নি।
- আসল ঘটনাটা কী
ওই ভিডিয়োতে পাইলটকে দাবি করতে দেখা গিয়েছে, তাঁর ফ্লাইটের ক্রুরা বোর্ডে দেওয়া স্যান্ডউইচ খেতে পারবেন না। কারণ এর গুণমান যথেষ্ট খারাপ। তাই তিনি বাধ্য নিজের সহকর্মীদের জন্য ভালো খাবার আনতে গিয়ে লেট হয়ে গিয়েছে। পাইলটের কথায়, আমার সহকর্মীরা জাঙ্ক স্যান্ডউইচ খান। তাই আমাকে আবার সিকিউরꦿিটি চেক এবং পাসপোর্ট চেক করার জন্য টার্মিনাল ছেড়ে যেতে হয়েছিল। যখন যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছোনোর অপেক্ষা করছেন, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা জানেন যে কিছু কেনার জন্য লাইনে দাঁড়ানো ঠিক নয়। কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। যাইহোক, আপনাদের অসীম ধৈর্যের জন্য ধন🙈্যবাদ', আমরা এবার যাত্রা শুরু করব।
- নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
শেয়ার করার পর থেকে, ভিডিওটি ২.৭ লক্ষেরও বেশি ভিউ সংগ্রহ করেছে - এবং এর সংখ্যা এখন বাড়ছে৷ শেয়ারটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪,৫০০ লাইক জমা করেছে। ভিডিয়ো জুড়ে পাইলটের এমন স্বীকারোক্তি এই মুহূর্তে বিদ্যুতের গতিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাইলটের সততার প্রশংসা করে অনেকেই ভিডিয়োটির নীচে নিজেদের মতামত শেয়ার করেছেন। একজন লিখেছেন, ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে কারণ তাঁরা ভালো খাবার খেতে চেয়েছিলেন। ভালো করে খাও আর নিরাপদে উড়ে যাও। আরও একজন ঠাট্টা করে বলেছেন, এমনটা ঘটার সময় যাত্রীদের উচিত ছিল যাত্রী সিট ছেড়ে দেওয়া, এবং আকাশে নিজে নিজেই ওড়ার চেষ্টা করা। অন্য একজন আবার রীতিমত রেগে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে যাত্রীদের কি সময়ের কোনও⛎ মূল্য নেই।
এই স্বীকারোক্তির মুহূর্তটি যিনি ভিডিয়োটি করেছিলেন, সেই যাত্রীর দাবি, ৪টার পর পর্যন্ত কোনও ক্রু উপস্থিত নඣা থাকার কারণে ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব হয়েছিল। যাত্রীদের এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিমানের ভিতরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল এবং কোনও জলখাবার দেওয়া হয়নি বা অন-বোর্ড বিশ্রামাগার ব্যবহার করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। ওই যাত্রী আরও বলেছিলেন, অবশ্যই যাত্রীদের বোর্ডিং করার আগে বিমা♕নবন্দরের লাউঞ্জে আরামে থাকার অনুমতি দেওয়া হলে ভাল হত, যখন ক্রুরা বুঝতেই পেরেছিলেন যে নিজেদের ভরণপোষণের জন্য ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হবে। কিন্তু তেমনটা করা হয়নি। যাত্রীদের ওই বিমানের মধ্যে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে।