ঠান্ডা পড়লেই অনেকের মন টানে সমুদ্রে। পাহাড়ের শীতল হাওয়ায় অনেকেই ভয় পান ঠান্ডা লেগে যাওয়ার। আর আপনিও যদি সেই দলে পড়েন, চোখ বুজে চলে যান নতুন জনপ্রিয়তা পাওয়া এই সমুদ্র সৈকতে। কলকাতা থেকে ঘণ্টা তিনেকের জার্নি করলেই পৌঁছে যেতে পারবেন এই সি বিচে। এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হবে, মন খুলে খেলা করতে পারবেন বালিতে লুকিয়ে থাকা লাল কাঁকড়াদের সঙ্গে। ভিড়💃ভাট্টার বালাই তো নেই-ই।&nbs🌱p;
ভাবছেন কোথায় আছে এই স্বর্গ? এই সি বিচের নাম যমুনাসুল। ল🐓োকেশন ওড়িশা হলেও, কলকাতা থেকে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে। ট্রেনে যেতে সময় লাগবে আপনাদের ঘণ্টা তিনেক। আর গাড়িতে সময় লেগে যায় ৫ ঘণ্টার মতো। অর্থাৎ উইকেন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে একেবারে আদর্শ। দিন দুই কাটিয়ে আসলেই দেখবেন রোজকার জীবনের একঘেয়েমি কোথাও যেন হাপিস হয়ে গিয়েছে।
কীভাবে যাবেন:
হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যেতে পারেন। নামুন বা💟স্তা স্টেশনে। ট্রেনে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। আর স্টেশন থেকে বাইরে বেরোলেই পেয়ে যাবেন যমুনাসুলে যাওযার অটো। অথবা যেই হোটেলে থাকবেন সেখানেও বলে নিতে পারেন গাড়ির কথা। অটোয় ভাড়া লাগবে ৭০০-৮০০ টাকা। আর গাড়িতে ১০০০-১২০০ টাকা। স্টেশন থেকে যমুনাসোল পৌঁছতে আপনার সময় লাগবে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা মতো।
থাকার জায়গা:
যমুনাসুলে পেয়ে যাবেন যমুনাসুল পান্থনিবাস, যমুনাসুল নেচার স্টে গিরি ফার্ম-সহ বেশ কিছু অপশন। এসি আর নন এসি সব 🥂ধরনের ঘর পাবেন। রয়েছে টেন্টে থাকার ব্যবস্থাও। আর খাওয়া-দাওয়াꦕয় মাছ থেকে মাংস, ভাত-ডাল রুটি সবটাই পাবেন।
কী দেখবেন
যমুনাসোল আসলে লাল কাঁকড়াদের স্বর্গ। ফাঁকা সি বিচ, ঝাউ বন, ঢেউয়ের আনাগোনা, সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাবে নিজেরাও বুঝতে পারবেন না। বিশেষ করে যারা জনবহুল সৈকতগুলি এড়িয়ে🍎 চলতে চান, তাঁদের জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতেই পারে না। শুধু আপনার থাকার জায়গায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেবেন জোয়ারের সময়। একটু চোখ রাখলে সমুদ্র সৈকতই আপনাকে উপহার দেবে নানা ধরনের সুন্দর ঝিনুক।
একটা অটো ভাড়া করে ঘুরে নিন কাঁসাফল থেকে। যেখানে কাঁসাফল নদী সমুদ্রে এসে মিশেছে। এখানেও আপনি নিতে পারবেন ঢেউয়ের সঙ্🧜গে খেলার মজা। এই বিচও ঝাউবনে ঘেরা। প্রকৃতির হাতছানি পরতে পরতে। দুটো রাত কাটিয়ে এলেই হয়ে যাবেন চনমনে।
শুক্রবার সকাল সܫকাল বেরিয়ে পড়ুন। শনিবার সারাদিন কাটান যমুনাসুলে। তারপর রবিবার আবার ফিরতি ট্রেন ধরে ফিরে আসুন বাড়িতে।