ক্যানসারের পাশাপাশি যে রোগটি আরও বেশি ভয়ংকর আকার ধারণ করে, সেটি হলো ব্রেন টিউমার। প্রাথমিক স্তরে ধরা যদি না পড়ে তাহলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। কিন্তু এই ব্রেন টিউমার আসলে কী? কীভাবে আপনি বুঝবেন আপনি ব্রে🐻ন টিউমারে আক্রান্ত? জানুন।
সম্প্রতি এইচটি লাইফ স্টাইলের একটি সাক্ষাৎকারে কথা বলতে গিয়ে ডক্টর অর্জুন শ্রীবৎস, যিনি বেঙ্গালুরুতে সিনিয়ার কনসালট্যান্ট এবং নিউরোসায়েন্স বিভা💜গের প্রধান, তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ব্রেন টিউমারের ১৫০ টির বে💖শি প্রকারভেদ লক্ষ্য করা গেছে। তবে সব থেকে বেশি যে দুটি প্রকারভেদ লক্ষ্য করা যায় সেগুলি হল মেনিনজিওমাস এবং গ্লিওব্লাস্টোমাস।’
(আরও পড়ুন: ✃জোর করে ৬০০০ টাকা নিয়ে নিল, দিল্লিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা🍰 জানালেন বিদেশি পর্যটক)
তিনি আরও বলেন,'মস্তিষ্কে অনিয়ন্ত্রিত এবং অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধিকে ব্রেন টিউমার বলা হয়। মানুষের মাথার খুলির স্থান সীমিত থাকে, এই মস্তিষ্কের ভিতরে যদি কোনও🤪 অতিরিক্ত বৃদ্ধি হয় সে ক্ষেত্রে মাথার খুলির ভেতর চাপ সৃষ্টি হতে থাকে, যা পরবর্তীকালে প্রাণঘাতক জটিলতা সৃষ্টি করে এবং মস্তিষဣ্কের ক্ষতি করে। একেই বলা হয় ব্রেন টিউমার।'
‘ব্রেন টিউমার💞ের প্রভাব কতখানি ভয়ংকর হবে তা নির্ভর করে এটির আকার কেমন। একদম ছোট টিউমার ক্যান্সারে পরিণত হয় না, মস্তিষ্ক বꦦা শরীরের অন্য কোনও অংশে ছড়িয়েও পড়তে পারে না। কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট যুক্ত টিউমারগুলি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তীকালে ক্যানসারে পরিণত হয়ে যায়।’
ব্রেন টিউমারের লক্ষণ:
চিকিৎসকের মতে, ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ হল অতিরিক্ত মাথাব্যথা। এছাড়া ব্রেন টিউমার হলে বমি বমি ভাব, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, খিচুনি, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, ক🎀থা বলতে অসুবিধা হওয়ার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়াও রেডিয়েশন, অতিরিক্ত স্থূলতা, রাসায়নিক কোনও জিনিসের সংস্পর্শে থাকলে এবং পূর্বে পরিবারে কোনও মানুষের ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
(আরও পড়ুন: নীরজ চোপড়া সোনা জিতলে ফ্রি ভিসা দেবে সংস্থা, ঘোষণা করﷺলেন CEO)
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা:
প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ধরা পড়ে যায় তাহলে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে পরবর্তী সময়ে যদি ধরা পড়ে, তাদের সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। ꦗতবে মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার একটি জটিল এবং গুরুতর প্রক্রিয়া। তাই কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়। তবে যে সমস্ত ক্ষেত্রে অস্ত্রপ্রচার ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না,ౠ সেসব ক্ষেত্রে অস্ত্র প্রচারের ঝুঁকি নিতেই হয়।