চতুর্দশ সাধারণাব্দের মাঝামাঝি সময় থেকে চিনে শুরু হয় মিং সাম্র🔯াজ্য। ১৩৬৮ থেকে ১৬৪৪ সাল পর্যন্ত মিং বংশ শাসন করে চিন। আর তারই মধ্যে কোনও এক সময়ে সেখানে জন্মেছিলেন কবি লিউ বোয়েন। তাঁকে অনেকে চিনের নস্ত্রাদামুসও বলেন।
কেন লিউ বোয়েনকে চিনের নসট্রাডামুস বলা হয়?
লিউ বোয়েন ছিলেন পুরোদস্তুর কবি। কিন্তু তাঁর বহু কবিতায় এমন অনেক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, যা পর💜বর্তীকালে প্রকৃতই ঘটেছে। যেভাবে ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসের বহু ভবিষ্যদ্বাণীই পরবর্তীকালে মিলে গিয়েছে, ঠিক সেভাবেই লিউ বোয়েনের অনেক কথাই চিনের ক্ষেত্রে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
করোনা নিয়ে কী বলা আছে লিউ বোয়েনের কবিতায়?
হালে লিউ বোয়েনের একটি কবিতা নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ এটিতে নাকি তিনি উল্লেখ করে গিয়েছেন করোনাভাইরাসের আগমনের কথা। চিনের প্রতিটি বছরকে কোনও না কোনও প্রাণীর নামে চিহ্নিত করা হয়। ২০১৯ সালে চিনের বছরটি (যেটি শুরু হয়েছিল ৫ ফেব্রুয়ারি)-র চিহ্ন ছিল শুয়োর। আর ২০২০ সালে যে নতুন বছর শুরু হয় (শুরু হয়েছিল ২৫ জানুয়ারি), সেটির চিহ্ন ছিল ইঁদুর। (আরও পড়ুন: সাধারণ গলাব্যথা নাকি কোভিড? কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন? কীভাবে সাবধান হবেন)
লিউ বোয়েনের কবিতায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে শুয়োর চিহ্নিত বছরটি চিনের জন্য মোটেই ভালো যাবে না। সে বছর নানা ধরনে সংক্রামক ব্যাধী চিনকে গ্রাস করবে। প্রকৃতই সে বছরে চিনে বহু ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ে। আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লি, বিউবনিক প্লেগ তো ছিলই, তার সঙ্গে বছর শেষে হাজির হয় এই করোনাভাইরাস। (আরও পড়ুন: নাকের বিশেষ স্প্রে কি কোভিড সংক্রমণ কমাতে পারে? কী বলছে হালের সমীক্ষা)
এই সব ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়াতেই এই কবিতাটি নিয়ে নতুন করে এত আলোচনা হচ্ছে। আর তাই অনেকেরই বিশ্ব♕াস, এটিতে যে সময়ের কথা রয়েছে, সেই সময়েই শেষ হবে করোনা সংক্রমণ।
কবে শেষ হবে করোনা? কী বলা হয়েছে এই কবিতায়?
লিউ লিখেছেন, এ সবই চলে যাবে ড্রাগন এবং সাপের কাছে। এর মধ্যেই নাকি রয়েছে উত্তর। চিনের বছরের হিসাবে ২𓆉০২৪ এবং ২০২৫ সাল হল যথাক্রমে ড্রাগন এবং সাপের বছর। আর সেখানেই গ♛িয়ে পৌঁছোবে এই করোনাভাইরাস। তার পরেই নাকি শেষ হবে এ দাপট। তেমনই বলা হয়েছে এই কবিতায়।