২০২০ সালের গোড়া থেকে এখন ২০২২ সালের গোড়া। গত দু’বছরে নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলেছে করোনাভাইরাস। আগামী দিনে আ𝕴রও বদলের আশঙ্কাও রয়েছে। যখন করোনার টিকা প্রথম তৈরি হয়েছিল, তখন করোনার যে রূপ ছিল, এখন তা অনেকাংশেই বদলে গিয়েছে। তাহলে পুরনো টিকা আর কতটা কাজ করতে পারবে নতুন রূপগুলির উপর? আগামী দিনে কি আদৌ আর এই ভ্যাকসিনের কোনও ক্ষমতা থাকবে?
এমন প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলেই। এবার WHO-এর তরফেও সেই কথা তোলা হল। বিশ্ব স্বাস্থ্ꦑয সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কয়েক জন বিজ্ঞানী সম্প্রতি জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রয়োগ হওয়া ভ্যাকসিন আগামী দিনে আর কাজে নাও লাগতে পারে। এই ভ্যাকসিনকে ‘আপডেট’ করতে হতে পারে। না হলে ওমিক্রন বা আগামী দিনে করোনার যে রূপগুলি আসবে, তার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা দিতে পারবে না টিকা।
প্রথম যখন করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছিল, তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সব টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থাকে বলা হয়েছিল, ভ্যাকসিনকে অন্তত ৫০ শতাংশ কার্যকর হতেই হবে। না হলে WHO সেই টিকাকে ছাড়পত্র দেবে না। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, বহু টিকার ⭕কার্যকারিতাই ৫০ শতাংশের চেয়ে কমে যাচ্ছে।
হালের বಌেশ কয়েকটি পরীক্ষা বলছে, ওমিক্রনের মতো করোনার নতুন রূপগুলি আসার পরে বহু 🤪টিকার কার্যকারিতাই ৪০ শতাংশ বা তার নীচে নেমে গিয়েছে।
WHO-র তরফে ইতিমধ্যেই টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য। মডার্না , ফাইজারের মতো কোম্পানিরা ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের আলাদা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শু🀅রু করে দিয়েছে। অন্য কোম্পানিগুলিও সারা পৃথিবী জুড়ে কোভিডের যে যে রূপ ♐রয়েছে, সেগুলিকে খুঁটিয়ে দেখছে, এবং নতুন ধরনের টিকা তৈরির দিকে এগোচ্ছে। ফলে আগামী দিনে নতুন টিকা যে আসতে চলেছে, তা একপ্রকার পরিষ্কার।