আশঙ্কা ছিল আগেই, এবার নিশ্চিত করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সম্প্রতি, কঙ্গোয় ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। তাঁর পিছনে অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলন রয়েছে বলে জানিয়েছে হু। এই ব্যജাপারে সতর্ক করেছে আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। এবারের মাঙ্কিপক্স ভয়ানক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
(আরও পড়ুন: অন্ত্রে মাছি, খাবারে নাকি ছি🐷ল না! কোন ‘ফাঁক’ গলে ঢুকল তবে? ধন্দে চিকিৎসকরা)
মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকাতে বহুদিন ধরেই ত্রাসের কারণ মাঙ্ꦏকিপক্স। সেখানে মাঝে মাঝেই এই রোগ মহামারির আকার নেয়। তবে হাতে গোনা কয়েকটা অঞ্চলেই সীমিত ছিল এই রোগ। গত বছর থেকে চরিত্র বদলাতে শুরু করে মাঙ্কিপক্স। এই মহামারির ইউরোপের 🌳বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে ১০০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে মাঙ্কিপক্স। রোগের প্রধান শিকার সমকামী ও উভকামী পুরুষরা।
বৃহস্পতিবার এই নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর বিবৃতি অনুযায়ী, বেলজিয়ামের এক বাসিন্দা মার্চে কঙ্গোয় যান। এর কিছু দিন পরেই তাঁর মাঙ্কিপক্স ধরা পড়ে। কঙ্গোয় তিনি সমকামে লিপ্ত হয়েছিলেন। সম🧔কামী ও উভকামীদের একাধিক বারে গিয়েছিলেন তিনি। বিবৃতি মাফিক, তাঁর মাঙ্কিপক্স হওয়ার পর আরও পাঁচজন পুরুষের একই রোগ ধরা পড়েছিল।
(আরও পড়ুন: এক্কেবারে ঘরকুনো, বেড়াতে যাওয়ার কথা উঠলেই জ্বর আসে এই♕ ৪ 💫রাশির)
হু-এর বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য নাইজেরিয় ভাইরোলজিস্ট (ভাইরাস বিশেষজ🍬্ঞ) ওয়েওয়েল তোমোরি একে প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলছেন। মাঙ্কিপক্সের কারণ হিসেবে সমকাম🐓ী ও উভকামী পুরুষদের যৌনমিলনের কথা বারবার উঠে এসেছে। কিন্তু এই পর্যন্ত প্রত্যক্ষ প্রমাণ পায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অবশেষে কঙ্গোর এই ঘটনাকেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলে মেনে নিচ্ছেন হু-এর বিশেষজ্ঞরা।
মাঙ্কিপক্স ছড়ায় ইঁদুরের মতোই দেখতে এক প্রজাতির প্রাণী থেকে। যাকে ইংরেজিতে রোডেন্꧑ট বলা হয়। গত বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল ৯১ হাজারের কিছু বেশি মানুষ। ১০০-এর বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল রোগটি। সেই সময়ই রোগের জন্য বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে হু। হু-এর বিবৃতিতে কঙ্গোর ক্লাবগুলির কথাও বলেছে। কমবেশি একডজন ক্লাবের কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এইꦐ ক্লাবের সমকামী ও উভকামী সদস্যরা ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করেন। ফলে রোগটিও দ্রুত ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে বলে জানান তিনি।