শীত আসলেই মনে মনে উৎসবের মরশুমের জন্য তৈরি হই আমরা। বড়দিন, নিউ ইয়ার, পিকনিক, নানারকম মেলা নিয়ে উৎসাহ কিছু কম থাকে না! তবে শীত আসে আনন্দের পাশাপাশি একাধিক সমস্যা নিয়েও। অনেকেরই এই সময় ঠান্ডা লেগে জ্বর হয়, কারও কারও আবার হাঁপানির সমস্যা হয়! সঙ্গে আরেকটা সমস্যাও একটু বাড়াবাড়ি শুরু করে, সেটা হল মাথাব্যথা। যখন-তখন সেটা শুরু হয়, আর কমার নামই নেয় না!শীতে সাধারণত অনেকেরই কোল্ড স্টিমুলাস হেডেক হয়। এটাকে আবার আইসক্রিম হেডেকও বলা হয়। নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ঠান্ডা লেগে যাওয়ার কারণে, আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার কারণে বা কান-মাথায় ঠান্ডা লাগার জন্য এই ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে। আর তাই আপনারও এই সমস্যা থাকলে বাড়ির বড়দের কথা মেনে কান আর মাথা ঢেকেই রাখুন। পাশাপাশি শরীর অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়া, ঘুমের সময়ে পরিবর্তন এমনকী আপনার খাদাভ্যাসে হঠাৎ পরিবর্তনও এই ধরনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। শীতে আরেক ধরনের মাথাব্যথার সমস্যা দেখা যায়। যা সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসেই হয়। এটাকে বলে ক্লাস্টার হেডেক। অনেকেই শীতের এই সময়ে ঘরের দরজা-জানলা সব বন্ধ রাখেন। ঘরে হিটার চলে। ঘরে ঠিকঠাক হাওয়া বাতাস না চলাচল করার জন্যই এমনটা হয়ে থাকে। মাথাব্যথা এড়াতে কী করবেন?ঠিক করে খাওয়া-দাওয়া করা, সঠিক গরম কাপড় নির্বাচন, জল বেশি করে খাওয়া, স্নান করা সময়মতো, সময়মতো ঘুমের মাধ্যমে আপনি মাথাব্যথা দূরে রাখতে পারেন। দেখুন কী করবেন--ঘরে হাওয়া-বাতাস চলাচল ঠির রখতে এক্সসট ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন।ঘর খুব শুষ্ক হয়ে পড়লে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।রাতে ঠিক করে ঘুমোন।সময় মতো খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খান।শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে বেশি করে জল খান, স্নান করুন। খুব বেশি চা বা কফি না খাওয়াই ভালো।ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খান, যেমন দুধ আর মাছ। দরকার পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন।দিনে অন্তত ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করুন।