ক্রনিক অসুখের মধ্যে মাইগ্রেন এমন একটা সমস্যা যা বর্তমানে ৫০-৬০ শতাংশ মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। আর এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পুরুষদের থেকে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেক বেশি হয় মহিলাদের। আর এই রিপোর্ট সামনে আসতেই বেশ চমকে উঠেছেন সকলে। কেন মেয়েদের বেশি হয় মাইগ্রেন?চলতি ভাষায় মাইগ্রেনকে অনেকে আধকপালিও বলে থাকে। কপাল থেকে শুরু করে চোখের একটা পাশ ও মাথার একটা দিক দিয়ে সাধারণত এই যন্ত্রণা হয়। ৩-৪ দিন পর্যন্ত একটানা এই ব্যথা থাকতে পারে। এমনকী, ওষুধ থেকে ঘুম, কোনওটাতেই সেভাবে কাজ হয় না। নিউরোলজি জার্নালের প্রকাশিত এক তথ্য অনুযায়ী, মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের তারতম্যের কারণ মাইগ্রেনের ব্যথার জন্য কিছুটা হলেও দায়ী৷ অন্য দিকে, পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের তারতম্য তুলনা মূলক ভাবে কম হয়, ফলে মাইগ্রেন হওয়ার প্রবণতাও কম থাকে৷ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আবার মাইগ্রেনে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে হার্টের বিভিন্ন অসুখ যেমন-- হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। এমনকী, তাঁদের মৃত্যুও হতে পারে এই কারণেই। পাশাপাশি অনেক চিকিৎসক আবার মনে করেন মাইগ্রেনের সঙ্গে স্ট্রেসের একটা পরোক্ষ যোগ রয়েছে। আর মহিলাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর তাই মাইগ্রেনও হয় অনেক বেশি। সাধারণত এই রোগের প্রধান চিকিৎসা হল ব্যথার ওষুধ ও লাইফস্টাইল মডিফিকেশন। যোগা করলেও উপকার পাওয়া সম্ভব। এছাড়া বেশিক্ষণ খালি পেটে না থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয় মাইগ্রেনের রোগীদের। মাইগ্রেনে আক্রান্ত হলে চকোলেট, সফটড্রিঙ্কস এমনকী চকোলেট ফ্লেভারের আইসক্রিম, পেস্ট্রি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। রোদেও যতটা সম্ভব কম থাকলে ভালো হয়।