লকডাউনে বাতিল হয়ে যাওয়া বিমানের চিকিটের দাম গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার বিষয়ে উড়ান সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারকে সুনিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যে সমস্ত যাত্রীর টিকিট লকডাউনের প্রথম পর্বে বাতিল হয়েছে, তাঁদের আগামী ২ বছর মেয়াদের যে কোনও যাত্রাপথের জন্য ক্রেডিট নোট দিতে শুক্রবার প্রস্তাব দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ। এ ব্যাপারে উড়ান সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করে গ্রাহকদের সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সক্রিয় পদক্ষেপ করতে বলেছে আদালত।আইনজীবী হোসে এব্রাহামের মাধ্যমে প্রবাসী লিগ্যাল সেল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে যে, লকডাউনের কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া বিমানের টিকিটের দাম ফেরত দিতে অস্বীকার করা উড়ান সংস্থাগুলির অবস্থান সম্পূর্ণ অবৈধ। লিগ্যাল সেলের দাবি, এই সিদ্ধান্ত ডিজিসিএ-র জারি করা দেশের কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল শর্তাবলীর পরিপন্থী এবং সেই কারণে অবৈধ। আবেদনে বলা হয়েছে, পুরো যাত্রীভাড়া ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে আপাতত বিকল্প বিমানযাত্রার টিকিটের মেয়াদ এক বছর করা হয়েছে। আবেদনকারীর কৌঁসুলি এবং সলিসিটর জেনারেল একযোগে প্রস্তাব দেন, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যাত্রী তাঁর গন্তব্য পরিবর্তন করতে পারবেন, এমন সুবিধা দেওয়া হোক। শুনানিতে ডিজিসিএ-র উড়ান সংস্থাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করার কথাও ওঠে। শুনানির শেষে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্দিষ্ট করেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের নির্দেশিকায় সমস্ত উড়ান সংস্থাকে টিকিট বাবদ সংগৃহীত সমস্ত অর্থ লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে অর্থাৎ ২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল তারিখের টিকিট বাতিল বাবদ ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক উড়ানের যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্থ ফেরত দেওয়ার সময় কোনও চার্জ বা শুল্ক বাবদ টাকা বাদ না দেওয়ার নির্দেশও দেয় মন্ত্রক। কিন্ কার্যক্ষেত্রে সেই নির্দেশ যথাযথ পালন করা হয়নি বলে উড়ান সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।