দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব লাদখে সীমান্তে বড় সংখ্যক চিনা ফৌজি মোতায়েন রয়েছে। তা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একইসঙ্গে সেই কারণেই গত ৩০ বছরে ভারত-চিনের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তা নষ্ট হয়েছে। শুক্রবার একথাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।বিশ্বের কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে ভারতকে পড়তে হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিদেশমন্ত্রী। একাধিক ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার লাগাতার চেষ্টা সত্ত্বেও চিনের সঙ্গে সীমান্ত দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ায় অবাক হয়েছেন। পূর্ব লাদাখের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় চিনা ফৌজির উপস্থিতি এবং গালওয়ানের ‘দুঃখজনক’ সংঘর্ষের বিষয় নিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মনে সেটার অবশ্যই গুরুতর প্রভাব পড়েছে এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাব আছে। তার ফলে (দ্বিপাক্ষিক) সম্পর্ক ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে।’জয়শংকর জানান, ছ'মাস ধরে দ্বন্দ্ব চললেও চিনের তরফে কোনও যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সীমান্তে চিনের সৈন্য সমাবেশের ফলে ‘ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে' যে ‘বড়সড় চ্যালেঞ্জ’ তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'এই বিষয়টি নিয়ে আমি চিনের তরফে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা পাইনি।'২০১৮ সালে উহান এবং গত বছর মল্লপুরম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘরোয়া শীর্ষ বৈঠক করেছিলেন। আমলাতন্ত্রের কোনও বাধা ছাড়াই তাতে দুই রাষ্ট্রনেতা একান্তে নিজেদের ‘উদ্বেগের বিষয়’ নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে জানান জয়শংকর। বিশেষত মল্লপুরমে দু'দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক, কীভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘চলতি বছর যা হয়েছে, গত ৩০ বছর ধরে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই অবস্থান থেকে একেবারেই ভিন্ন।’