নিজেরাই করোনা সংকটে জর্জরিত।তাই অক্সিজেন যাতে অন্য রাজ্যে না পাঠানো হয়, সেজন্য খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখলেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এডাপাড্ডি পালানিস্বামী।তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এমনিতেই চাহিদার তুলনায় কম অক্সিজেন আছে তামিলনাডুতে।এই পরিস্থিতিতে শ্রীপেরামবুদুর প্লান্ট থেকে যেন ৮০ কিলোলিটার তরল অক্সিজেন যেন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানায় না পাঠানো হয়।তামিলনাডু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব তাড়াতাড়ি তামিলনাডুর প্রতিদিন ৪৫০ মেট্রিকটন অক্সিজেন লাগবে।এখন তামিলনাডুর অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা ৪০০ মেট্রিকটন।পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনই তামিলনাডুতে ৩১০ মেট্রিকটন অক্সিজেন লাগছে।রাজ্যে করোনা সংক্রমণের মাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে অক্সিজেনর চাহিদা বাড়বে।ফলে এখনই অন্য রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানো ঠিক হবে না।এদিন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী জানান, শ্রীপেরামপুদুর প্ল্যান্ট থেকে প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেন চেন্নাইতে আসে।চেন্নাইতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে যে রাজ্যে এখন অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে, সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম।পাশাপাশি যে সব রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে, সেখানে বড় বড় স্টিল প্ল্যান্ট আছে।ফলে ওখানে অক্সিজেনের অভাব হওয়ার কথা নয়।তামিলনাডু সব সময়ই অন্য রাজ্যকে সাহায্য করে এসেছে। কিন্তু যেখানে চেন্নাই সহ অন্যান্য জেলায় করোনার সংকট তীব্র, সেখানে ওই সব জায়গাতে অক্সিজেনের সরবরাহ করা প্রয়োজন।তবে গত বৃহস্পতিবার তামিলনাডু সরকারের তরফে মাদ্রাজ হাই কোর্টকে জানিয়েছিল, শ্রীপেরামবুদুর প্লান্ট থেকে অক্সিজেন অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাকে পাঠালে তাতে তামিলনাডুর কোনও প্রভাব পড়বে না।আদালতকে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তাঁদের ১,১৬৭ মেট্রিকটন অক্সিজেন মজুত রাখার ক্ষমতা আছে।করোনা পরিস্থিতির জন্য তাদের এখন দিনে ২৫০ মেট্রিকটন অক্সিজেন লাগছে। ফলে তামিলনাডুর কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।তখন আদালতকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বিজয় নারায়ণ জানান,তামিলনাডু থেকে ৬৫ মেট্রিকটন অক্সিজেন অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাতে পাঠানো হয়েছে।এতে তামিলনাডুর কোনও অসুবিধা হয়নি।এরপর মামলাটি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করে আদালত।সোমবার আদালতে রাজ্যের তরফে হাসপাতালে অক্সিজেন সংখ্যা, অক্সিজেন ও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।জানা যাচ্ছে, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে স্টারলাইন কপার প্ল্যান্টটি ফের খোলার বিষয়ে হলফনামা দাখিল করার কথা রয়েছে রাজ্য সরকারের।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ওই কপার প্ল্যান্টটি পরিবেশগত বিধিভঙ্গের অভিযোগে বন্ধ হয়ে যায়।