আদৌও পরীক্ষা হবে? পরীক্ষা না হলে কীভাবে মূল্যায়ন হবে? তা নিয়ে ক্রমশ উৎকণ্ঠা বাড়ছে বাংলাদেশের মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের। অবশেষে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি জানালেন, কয়েকদিনের মধ্যেই দুই পরীক্ষায় ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সম্ভবত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে শিক্ষা মন্ত্রক।ঢাকার ইডেন কলেজ একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যান শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, পড়ুয়াদের স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই বিভিন্ন ধরনের বিকল্প খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নেওয়া হবে নাকি বাতিল হয়ে যাবে, বাতিল হলে কীভাবে মূল্যায়ন হবে, সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রক। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সম্ভবত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। কারণ ক্রমশ সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।গত রবিবারও শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পুরো পাঠ্যক্রমে পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত অংশের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। যদি পরীক্ষা বাতিলই হয়ে যায়, সেক্ষেত্রেও কী পদক্ষেপ হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলবে।তবে পরীক্ষা নেওয়া যথেষ্ট কঠিন বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। বিশেষত চলতি সপ্তাহেই জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। যা আগামী বছর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে। ফলে স্কুল খুললেও কত তাড়াতাড়ি পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তা সন্দেহ আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিক প্রতিটি বিষয়ে ৬০ টি ক্লাস এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৮০ টি ক্লাস হবে। ফলে সেই কোটা পূরণ করে কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা নিয়েও ধন্দ আছে।