প্রায় ২ দশকের আইনি লড়াই। অকালমৃত্যু হয়েছিল সন্তানের। চেন্নাইয়ের হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেছিলেন বাবা-মা। অবশেষে সেই আইনি লড়াইতে জয়ী হলেন ওই হতভাগ্য বাবা মা। ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতাল ও চিকিৎসককে।রায়ে বলা হয়েছে, হাসপাতালকে ৮৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। অ্যানাস্থেসিস্ট দেবেন ১০ লক্ষ টাকা, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ দেবেন ৫ লক্ষ টাকা। মামলার খরচ বাবদ হাসপাতালকে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা। না হলে ৯ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। ক্যালকাটা বয়েজ স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল অনমিত্র মোদক। বাবা সিইএসসির মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার আর মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। ১৯৯৮ সাল। একেবারে প্রাণচঞ্চল অনমিত্রের আচমকাই জ্বর এসেছিল। মাত্র ৮ বছর বয়স তখন তার। জ্বর ভালো হয়েছিল কিন্তু ডান চোখটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার। ম্যালেরিয়ার জন্যই এমন হল কি না তা ভেবে আকুল বাবা মা। এরপর এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছোটাছুটি।শেষ পর্যন্ত চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে যান তাঁরা। পরিবারের দাবি সেখান থেকে বলা হয়েছিল মাইনর সার্জারি করতে হবে। এদিকে অনমিত্রের হার্টে কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে হৃগরোগ বিশেষজ্ঞরা সেই সময় জানিয়েছিলেন অ্যানাস্থেসিয়ায় কোনও সমস্যা হবে না। সেই মতো শুরু হয় অ্যানাস্থেসিয়ার কাজ। গলা দিয়ে টিউব ঢোকানোর সময় মাংসপেশিতে তা আটকে যায়। এরপর মাংস পেশি শিথিল করার জন্য একটি বিশেষ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। অথচ ওই ইঞ্জেকশন ৮ বছরের কোনও শিশুকে দেওয়ার নয়। অস্ত্রোপচারের আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল অনমিত্রের।