ব্যাটারি চালিত ডিভাইস নিয়ে খেলতে গিয়ে ঘটল বিপত🍨্তি। ব্যাটারি ফেটে জখম হল এক নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নাবালক মাথা এবং কানে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল ছাড়িয়েছে। যদিও ব্যাটারি ফেটেই বিস্ফোরণ হয়েছে না ♑কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পেনসিল ব্যাটারি চা꧂র্জ দিতে গিয়ে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ছাত্রে🍃র আঙুল
জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের নাম চিরাগ পাতিল। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। বৈদ♍্যুতিন ডিভাইস নিয়ে খেলার শখ ছিল ওই ছাত্রের। একটি ফ্যানও তৈরি করেছিল ওই ছাত্র। এদিন নিজের তৈরি ফ্যান খেলছিল ওই ছাত্রটি। সে সময় আচমকা ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ পেয়ে সেখানে ছুটে যান তার পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি তারা ওই নাবালককে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে ওই নাবালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণে চিরাগের শরীরে কোনও আঘাত না লাগলেও বাঁ কান, গলা ও মাথা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিরাগের বাবা জানান, নাবালক চিনা ব্যাটারি নিয়ে খেলছিল।𒆙 সেটি ভালো মানের ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগেও বহু ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গত মার্চে এক কিশোর পেনসিল ব্যাটারি নিয়ে খেলা করার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তাতে গুরুতর জখম হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। পাশাপাশি ওই ছাত্রের দুটি আঙুলের বেশ কিছু অংশও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিমবনেগের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানা এলাকায়ꩵ। ঘটনার পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বছর তেরোর ওই বালককে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এছাড়াও, মার্চ মাসেই বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মোবাইলের ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এরফলে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ি💃নীতে।
কী কারণে ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ ঘটে?
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,😼 ব্যাটারি চার্জ করার সময় সমস্ত সীসা-অ্যাসিড ব্যাটারি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এই দুটি গ্যাসের উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পায়। ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ হলে বা খুব দ্রুত চার্জ হলে এটিও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ব্যাটারি ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণত নিম্ন মানের ব্যাটারি ব্যবহৃত হলে শর্ট সার্কিট হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।