একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। টানা দু’বছর গরিব মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের🐎 সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়াদিল্লি থেকে কলকাতার রাজভবন তোলপাড় হয়ে যায় সেই আন্দোলনে। এতকিছুর পরও আবার নতুন করে সংঘাতের রাস্তাই বেছে নিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। এই প্রকল্পে বাংলা স্বচ্ছতা দেখালে এবং তাতে কেন্দ্র সন্তুষ্ট হলে তবেই বকেয়া টাকা পাবে বলে আজ, শুক্রবার সরাসরি জানিয়ে দিলেন গিরিরাজ সিং।
এখন এই বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের স🍌ংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাতে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে আরও সংঘাত বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ অভিষেকের দেওয়া সময়সীমা ৩১ অক্টোবর। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সদুত্তর না দিলে ১ নভেম্বর থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে। যার নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আজ, গিরিরাজ সিং যে মন্তব্য করেছেন তাতে দুর্গাপুজো মিটলেই এই বৃহত্তর আন্দোলন দেখবে দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছেন একশো দিনের বকেয়া টাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলে সূত্রের খবর।
এদিকে আ🎃জ, শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন গিরিরাজ সিং। সেখানে নানা উদ্যোগের কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসের দিন যে নানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন সেগুলিকে বাস্তাবায়িত করার কথাও বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাকে একশো দিনের টাকা দু’বছর ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। আপনার বক্তব্য ঠিক কী? এই প্রশ্নে তিনি সরাসরি বাংলার সঙ্গে সংঘাতে গেলেন ঠিকই। তবে দু’বছর যে টাকা দেওয়া হয়নি সেটাও কার্যত স্বীকার করে নিলেন। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পুরষ্কারপ্রাপ্ত🐟 মণ্ডপে হাজির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দুর্গাপুজো দেখতে গোয়ার সিএম শহরে
ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বারবার হিসাব পাঠিয়ে চিঠি লিখেছে। কাজ সম্পূর্ণের শংসাপত্র পাঠিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী নয়াদিল্লি গিয়েඣ নথি–তথ্য দিয়ে এসেছেন। যার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেছেন। সেখানে আজ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতমন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, ‘টাকা তখনই পশ্চিমবঙ্গ পাবে যখন কেন্দ্র সন্তুষ্ট হবে এই প্রকল্পে তাদের কাজের স্বচ্ছতায়। আমরা বাংলাকে কি টাকা দিচ্ছি না, আমরা অন্যান্য প্রকল্পের অধীনে টাকা দিচ্ছি।’ অর্থমন্ত্রকের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে অতিরিক্ত তহবিল দিতে বলে জানান মন্ত্রী।