সংঘর্ষ বিরতির পর থেকেই কেমন যেন অন্য সুরে কথা বলতে শুরু করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে বার বার ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এবার এনিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৭১ সাল আর ২০২৫ সাল এই দু⛎য়ের পরিপ্রেক্ඣষিতটা সম্পূর্ণ আলাদা।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় শশী থারুরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কংগ্রেস সোশ্য়াল মিডিয়াতে ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ টানছে। তবে সেই প্রসঙ্গে সরাসরি তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে শশী থারুর জানিয়েছেন, আসল ব্যাপারটি হল, আমার যেটা মনে হচ্ছে আমরা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে হাজির হয়েছি যে এই যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বাড়লে সেটা হাতের বাইরে চলে যাবে। সকলের কাছেই শান্তিটা খুব দরকার। আসল সত্যিটা হল ১৯৭১ সাল আর ২০২৫ এর পরিস্থিতির মধ্য়ে মি🌄ল নেই, উভয়ের মধ্য়ে ফারাক অনেকটাই।
তিনি বলেছিলেন,আমি বিশ্বাস করি যে ভারতের মানুষ শান্তি চান। আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। পুঞ্চের মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। কতজন মারা গিয়েছেন। তার মানে আমি এটা বলছি না যে আমাদের যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার। যখন সেটা ধারাবাহিকভাবে করার দরকার তখন সেটা করা উচিত। কিন্তু এই যুদ্ধটা ধারাবাহিকভাবে করার দরকার নেই। জঙ্গিদের একটা শিক্ষা দেওয়ার দরকার ছিল। সেই শিক্ষাটা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পহেলগাঁও হামলায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে সরকার চেষ্টা চালাবে এটা নিশ্চিত। তবে এটা রাতারাতি হবে না। এটার জন্য় কয়েকমাস সময় লাগবে। তবে আমাদের এটা করতেই হবে। নিরীহ ভারতীয়দের খুন করে কেউ বেরিয়ে যাবে এটা হতে পা🎃রে না। কিন্তু তার মানে এটাও নয় যে দিনের পরে দিন যুদ্ধ করে গোটা দেশকে বিপদে ফেলব আমরা।
তিনি বলেন, আমাদের ভারতীয়দের জীবনযাত্রায় যাতে আরও সমৃদ্ধি আসে সেটা দেখা দরকার। আমি মনে করি শান্তিটা অত্যন্ত দরকার। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের বিজয়টা ভারতবাসী হিসাবে আমাদের গর্বিত করে। ইন্দিরা গান্ধী এই ভারতীয় উপমহাদেশের ম্য়াপটা নতুন করে এঁকেছিলেন। কিন্তু সেই প⛄রিস্থিতিটা পুরো ভিন্ন ছিল। আর আজকের পাকিস্তান পুরো আলাদা। তাদের সমরসজ্জা, তারা যে ক্ষতি করতে পারে, পুরোটাই বদলে গিয়েছে।