ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যে এভাবে গুলি খেতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি রাজ কনোজিয়া। হাসপাতালের বেডে শুয়ে এখনও গত শনিবারে▨র ൩ঘটনা মনে করে শিউরে উঠছেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ হলেন সেই যুবক, যিনি বাবা সিদ্দিকিকে খুনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, আততায়ীদের ছোড়া একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বিঁধেছিল তাঁর পায়ে!
২২ বছরের রাজ কানোজিয়া পেশায় একজন দরজি। গত শনিবার ঠাকুꦆর দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কারণ, ওই দিন দশেরা উপলক্ষে মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাছাড়া, মুম্বই শহরের বহু জায়গায় দুর্গাপুজো করা হয়।
বিভিন্ন🔜 মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করবেন বলেই রাজ এবং তাঁর বন্ধুরা শনিবার রাতে ﷽রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তার মধ্যেই ঘটে যায় ভয়াবহ ঘটনা। এনসিপি নেতাকে গুলি করে খুন করে বন্দুকবাজরা। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই সময় সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ ও তাঁর বন্ধুরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বান্দ্রাতেও ঠাকুর দেখতেই গিয়েছিলেন তাঁরা। হঠাৎ তাঁর মনে হল, খুব জোরে কেউ বাজি ফাটালো! তারপরই রাজ খেয়াল করেন, তিনি তাঁর একটি 🌊পায়ের পাতায় কোনও সাড় পাচ্ছেন না!
রাজের কথায়, 'আমি জুস খ༒েলাম। তারপর জুসের স্টল থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ মনে হল, আমার পায়ের পাতার উপরেই খুব জোরে কেউ বাজি ফাটালো। হঠাৎ সেখানে খুব হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। মানুষ ছুটোছুটি করছিল। মনে হচ্ছিল, পদপিষ্ট হয়ে যাব। সবাই চিৎকার করছিল। আমি পায়ের দিকে তাকালাম। দেখলাম রক্তে চারিদিক ভেসে যাচ্ছে! আমার বন্ধুদের সাহায্যে এক পায়ে লাফিয়ে সেখান থেকে কোনও মতে পালিয়েছিলাম। তারপর আমরা একটা পুজো মণ্ডপে পৌঁছই। সেখানে পুলিশের, সরকারের লোকজন ছিলেন। অনেক মানুষ ছিলেন। তাঁরাই আমাকে সাহায্য করেন।'
প্রাণে বেঁচে গেলেও এখন সংসার কীভাবে চলবে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে সেই চিন্তাই করছেন ২২ বছরের এই তরুণ। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের উদ্দেশে তাঁর আর্তি, 'আমার এখন যা অবস্থা, তাতে এখনই তো আর কোনও কাজ করতে পারব না। কয়েক ಌমাসের মধ্যেই আমার বোনের বিয়ে। আপনি কিছু সাহায্য করতে পারবেন?'
উল্লেখ্য, গত শনিবারই আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান প্রবীণ এনসিপি নেতা তথা তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি। 💛মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকার খের নগরে, তাঁর ছেলে তথা বিধায়ক জসিন সিদ্দিকির অফিসের 🉐ঠিক বাইরে বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ করে গুলি চালায় তিন আততায়ী।
এই ঘটনার পর বাবা সিদ্দিকিকে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও লাভ হয়নি। চিকꩲিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।