দেশের ২৪ টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় চিহ্নিত করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সর্বাধিক আটটির হদিশ মিলেছে উত্তরপ্রদেশে। তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গও। বাংলায় দুটি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ মিলেছে। সেইসঙ্গে দেশে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা নিয়ম লঙ্ঘন করছে। সোমবার লোকসভায় একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, ‘পড়ুয়া, অভিভাবক ও আমজনতা থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে ২৪ টি স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠানকে ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়কে হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউজিসি।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আরও উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ভারতীয় শিক্ষা পরিষদ এবং নয়াদিল্লির কুতুব এনক্লেভের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং ম্যানেজমেন্ট (আইআইপিএম) নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের হদিশ মিলেছে। যেগুলি ১৯৫৬ সালের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন লঙ্ঘন করে চলছিল। লখনউয়ের ভারতীয় শিক্ষা পরিষদ এবং নয়াদিল্লির আইআইপিএমের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে।’কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে সর্বাধিক আটটি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় আছে - বারাণসীর বারাণাসেয়া সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদের মহিলা গ্রাম বিদ্যাপীঠ, এলাহাবাদের গান্ধী হিন্দু বিদ্যাপীঠ, কানপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ইলেকট্রো কমপ্লেক্স হোমিওপ্যাথি, আলিগড়ের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ওপেন ইউনিভার্সিটি, মথুরার উত্তরপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতাপগড়ের মহারাণা প্রতাপ শিক্ষা নিকেতন বিশ্ববিদ্যালয় এবং নয়ডার ইন্দ্রপ্রস্থ শিক্ষা পরিষদ। ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে দিল্লি। সেখানে সাতটি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় আছে - দায়রাগঞ্জের কমার্শিয়াল ইউনিভার্সিটি লিমিটেড, ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি, ভোকেশনাল ইউনিভার্সিটি, এডিআর সেন্ট্রিক জুডিশিয়াল ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউশন অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্বকর্মা ওপেন ইউনিভার্সিটি ফর সেলফ এমপ্লয়মেন্ট এবং আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ ৬২.৫ শতাংশ ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় আছে উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতেই। ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের দাপট থাকলেও দেশের অন্যান্য প্রান্তেও সেরকম প্রতিষ্ঠানের হদিশ মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় দুটি করে ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে - চৌরঙ্গীর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ মেডিসিন, ঠাকুরপুকুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ, নর্থ ওড়িশা ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড টেকনোলজি এবং রউরকেল্লার নবভারত শিক্ষা পরিষদ। এছাড়াও কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, পুদুচেরি এবং মহারাষ্ট্রে একটি করে ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের হদিশ মিলেছে।সেই ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব, শিক্ষাসচিবদের চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শো-কজ নোটিশ ধরানো হয়েছে।