সোমবার নির্ধারিত সময়েই দিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জামনগরে ইডির দফতরে প্রবেশের আগেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে তদন্ত করছে। একজন নাগরিক হিসাবে আমি সহযোগিতা করব।’ প্রসঙ্গত কয়লাকাণ্ডে তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। প্রায় ৮ ঘণ্টা পর ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেক জানিয়ে দিলেন, ‘আমি তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছি।সমস্ত বক্তব্য লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ তবে শুধু এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। তাঁর সাফ কথা, ‘যাদের ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে এই তদন্তকারী সংস্থা কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না?’ আর তারপরেই তাঁর হুঁশিয়ারি,' বিজেপির যা করার করে নিক, আমি মাথা ঝোঁকাব না।' এরপরই গেরুয়া শিবিরকে একেবারে চরম অস্বস্তিতে ফেলে পালটা চাল দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘২৫জন বিধায়ক লাইনে রয়েছেন। ওরা রাজনৈতিকভাবে জয়ী হতে পারেননি। সেকারণে তারা সিবিআই ও ইডিকে ব্যবহার করছে। আমরা জীবন বাজি রাখব কিন্তু মাথা নত করব না। ’ইডির দফতর থেকে বেরিয়েই এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে চাপে রাখার চেষ্টা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ইডির মুখোমুখি হওয়ার আগে রবিবারই তোপ দেগেছিলেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন,'কেউ যদি কোথাও ১০ পয়সার লেনদেন প্রমাণ করতে পারেন, তাঁহলে ফাঁসির মঞ্চ করে বলুন। আমি মৃত্যুবরণ করতে তৈরি আছি।' এদিন ইডির দফতর থেকে বেরিয়েও সেই বিজেপিকেই পালটা চাপে রাখার চেষ্টা করলেন অভিষেক।