চঞ্চল্যকর ঘটনা অরুণাচল প্রদেশে। একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হল দম্পতি সহ ৩ জনের দেহ। এই মৃত্যুকে ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। মঙ্গলবার অরুণাচল প্রদেশের লোয়ার সুবানসিরি জেলার একটি হোটেলের ঘর থেকে তাদের মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ৩ জনেই কেরলের বাসিন্দা। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন🐼্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, কালা জাদু করতে গিয়েই এরকম পরিণ💛তি হয়েছে ৩ জনের। তবে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'পুজো'র জন্য স্ত্রীর ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন স্বামী! দাম🧸 শুনলে ঘুরবে মাথা
লোয়ার সুবানসিরির এসপি কেনি বাগরা জানিয়েছেন, জেলা সদরের হাপোলিতে ব্লু পাইন নামে ওই হোটেলের ঘরে কোট্টায়ামের দম্পতি এবং তিরুবনন্তপুরমের তাদের বন্ধুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।তাদের সকলের বয়স ৩০- এর আশেপাশে। মৃতদের নাম নবীন থমাস, তার স্ত্রী দেবী বি এবং তাদের বন্ধু আর্য বি নায়ার। জানা গিয়েছে, তারা ২৭ মার্চ গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ২৮ মার্চ ওই হোটেলে উঠেছিলেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নবীন একজন অনলাইন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার স্ত্রী দেবী বেসরকারি স্কুলে জার্মান পড়াতেন। আর্য একই স্কুলে ফরাসী শিꦓক্ষিকা ছিলেন।ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতেই কালা জাদুর ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে , এদিন হোটেলের কর্মীরা তাদের হোটেলের ঘর চেক করতে গিয়ে তাদের মৃতদেহ দেখতে পান। প্রাথমিকভাবে, ৩ জনের কব্জি কাটা ছিল। তা থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। এর মধ্যে আর্য বি নায়ারকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তার কব্জিতে কাটা দাগ রয়েছে, দেবী বি’র ঘাড়ে এবং কব্জিতে গুরুতর আঘাত পাওয়া গিয়েছে। এদিকে, নবীন থমাসকে বাথ𓃲রুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কব্জিও কাটা ছিল।
জেলা পুলিশের দল এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেন। জানা গিয়েছে, আর্যর আত্মীয়রা তিরুবনন্তপুরম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে কেরল প🎃ুলিশ জানতে পারে দুজনের সঙ্গে তিনি গুয়াহাটিতে উড়ে গিয়েছিলেন। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমাদের কোনও ঋণ নেই। আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আমরা সেখানে যাই যেখানে আমাদের থাকা উচিত।’ তিনজনের সই রয়েছে এই সুইসাইড নোটে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে।