বিহারে সেতু বিপর্যয় অব্যাহত। বুধবার রাজ্যটিতে ভেঙে পড়ল আরও তিনটি সেতু। যার মধ্যে দুটি ভেঙে পড়েছে সিওয়ান জেলায় এবং একটি ভেঙেছে সরন জেলায়। এই অবস্থায় গত ১৫ দিনের মধ্যে বিহারে ভেঙে পড়ল ৯টি সেতু। বিহারে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠ💫েছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে। একইসঙ্গে সেতু তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এভাবে বারংবার সেতু ভেঙে পড়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে সেতু এপর্যয়ের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিহারের সেতু ভেঙে পড়ায় 🍎দ💖ায় কার? স্পষ্ট করলেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরন জেলায় যে সেতু ভেঙে পড়েছে সেটি বহু পুরনো। অন্যদিকে, সিওয়ান জেলার সেতু দুটি ১৯৮৩ এবং ১৯৯৮ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতু ভেঙে পড়ার সময় তার উপরে কোনও যানবাহন বা সাধারণ মানুষ ছিলেন না। যার ফলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে বারবার সে তো ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। যদিও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব অভিযোগ করেছেন, এক দিনে চারটি সেতু ভেঙে পড়েছে, অথচ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং তাঁর ডেপুটিরা এনিয়ে নীরব রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সেতু বি🌳পর্যয়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তড়িঘড়ি সড়ক নির্মাণ বিভাগ এবং গ্রামীণ পূর্ত বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত পুরনো সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি যেগুলি মেরামতের প্রয়োজন অবিলম্বে সেগুলি মেরামত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে💦ন।
এ দিন সেতু বিপর্যয়ের পরে ডব্লিউআরডি অতিরিক্ত মুখ্য সচিব একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, এই ধরনের সেতুগুলি নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। যার ফলে বন্যার সময় সেতুর কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, প্রথমে সিওয়ান জেলার দেওরিয়া ব্লকে গণ্ডকী নদীর উপর একটি ছোট সেতু ভোর পাঁচটা নাগাদ ভেঙে পড়ে। এরপর একে একে অন্যান্য সেতুগুলিও ভেঙে পড়ে। কী কারণে সেগুল🌟ি ভেঙে পড়েছে তা জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে ব🐠লে জানিয়েছেন ডেপুটি ডেভলপমেন্টে কমিশনার মুকেশ কুমার।