বিহারে নেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে অমিত আনন্দ নামক এক ব্যক্তি। দাবি করা হচ্ছে, পুরসভার এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে এই গোটা দুর্নীতির চক্র চালাচ্ছিল অমিত। এই আবহে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিজয় সিনহা দাবি করেছিলেন, নিট কাণ্ডে ধৃত অমিত আদতে তেজস্বী যাদব ঘনিষ্ঠ। তবে আরজেডি নেতা সেই অভিযোগ খারিজ করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রে বিজেপিরই সরকার আছে। তারা তদন্ত করে এই ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন করুক। আর এরই মাঝে এবার বিহারের অপর এক উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর সঙ্গে ধৃত অমিত আনন্দের ছবি প্রকাশ করল আরজেডি। এই আবহে নিট কাণ্ড নিয়ে বিহারে রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়া জারি আছে। (আরও পড়ুন: বাংলা💯র সরকারি কর্মীদের জন্য ভা📖তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মেমো জারি অর্থ দফতরের)
আরও পড়ুন: বিমা করানোর আগে সাবধান! গ্রাহক🐭দের ভুল ভাঙাতে নয়া নির্দেশিকা জারি IRDAI-এর
আরও পড়ুন: সময় খারাপ সরকারি কর্মীদের? জারি হল কড়া ন꧑ির্দেশিকা, কোপ পড়বে ছুটিতে!
জানা গিয়েছে, গত ৫ মে নিট পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট পরই পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে একটি খবর গিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, একটি সাদা রঙের রেনল্ট ডাস্টার গাড়ি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দেখা গিয়েছে। তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে এই গাড়ি একটি নির্দিষ্ট গ্যাং সদস্যের। এর আগে সেই গ্যাং সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। আর গত ৫ মে বিহার পুলিশের এসএইচও অমর কুমারের কাছে যে খবর আসে, তাতে ইঙ্গিত মেলে যে নিট পরীক্ষায় 'অনিয়ম' হয়ে থাকতে পারে। সেদিন বিহার পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৩ জন - সমস্তিপুরের সিকান্দর যাদভেন্দু (৫৬), দানাপুরের অখিলেশ কুমার (৪৩) এবং রোহতাসের বিট্টু কুমার (৩৮)। এই তিনজনকে পুলিশ জেরা করে। সেই সময় পেশায় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দর তদন্তকারীদের জানান, সঞ্জীব সিং, রকি, নীতীশ কুমার এবং অমিত আনন্দ নামক ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং 'সেটিং' হয়। এদিকে সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি অ্যাডমিট কার্ড যাদের ছিল, তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। এই অমিত আনন্দই গোটা চক্রের মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ১ কোটি জরিমানা থেকে ১০ বছর জেল, NEET বিতর্কেꦍর মাঝে কার্যকর প্রশ্নফাঁস বিরোধী আইন)
আরও পড়ুন: 'ছেঁড়া OMR…', NEET নিয়ে বড় অভিযোগ পানিহাট🌠ির ছাত্রীর🔜, কী বলল কলকাতা হাই কোর্ট?
আরও পড়ুন: NEET ঘিরে বিতর্ক, বাতিল UGC NET, আর CSIR NET-এর প🅷র এবার স্থগি✨ত আরও এক পরীক্ষা
এরপর বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের হাতে একের পর এক প্রমাণ এসেছে এই সংক্রান্ত। জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা ৬টি পোস্ট ডেটেড চেক উদ্ধার করেছেন। তা থেকে জানা গিয়েছে, নিটের তথাকথিত প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্যে পরীক্ষার্থী পিছু ৩০ লাখ টাকা করে নিয়েছিল মাফিয়া গোষ্ঠী। ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ইওইউ) মানবজিৎ সিং ধিলোঁ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই চেক উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'তদন্ত চলাকালীন, গোয়েন্দারা ছয়টি পোস্ট-ডেটেড চেক উদ্ধার করেছে। পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার জন্যে সেই টাকা নেওয়া হয়েছিল।' রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া চেকগুলির সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: 'প্যান্ডোরার বাক্স…',নিট কাণ্ডে 'টিপ' পাওয়া🃏 নিয়ে অকপট অভি♔যান চালানো পুলিশ অফিসার)
আরও পড়ুন: লোকসভার প্রোটেম স্পিকার বিতর্কে🦩 নয়া মোড়, BJP-কে চাপে ফেলতে নয়া 'চাল' স♔ুদীপদের
এদিকে পরীক্ষার আগেই নিট প্রশ্নপত্র হাতে আসার কথা স্বীকার করে বিহারের এক পরীক্ষার্থী। সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের হাতে ধৃত অনুরাগ যাদব নামক এক পরীক্ষার্থী জেরায় জানিয়েছেন, ৪ মে রাতে তাঁর আঙ্কেল তাঁকে অমিত আনন্দ এবং নীতীশ কুমার নামক দু'জনের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে নিট-এর প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র দেওয়া হয়েছিল। সারা রাত বসে আমাকে সেই উত্তরপতꦫ্র মুখস্ত করতে বলা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃত অনুরাগ সমস্তিপুরের বাসিন্দা। সে কোটা থেকে ☂সমস্তিপুরে ফিরেছিল নিট পরীক্ষায় বসার জন্য। এদিকে অনুরাগের আঙ্কেল একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র। এদিকে অনুরাগের বয়ানের অমিত আনন্দ পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে দানাপুর পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র সিকন্দরের সঙ্গে মিলে সে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ষড়যন্ত্র করেছিল। ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা দরে সে এক এক পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিল। এদিকে এই ঘটনায় আয়ুষ নামক এক পরীক্ষার্থীর বাবা অখিলেশও গ্রেফতার হন। তিনিও প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকার করেন। এদিকে অনুরাগের মা রীনাদেবীও প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকার করেন পুলিশি জেরায়।