নিট বিতর্ক থামছেই না। এরই মাঝে আবার গ্রেস মার্কস পাওয়া প্রায় ১৫০০ জন পরীক্ষার্থীর নতুন করে পরীক্ষা নিতে চলেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এই পরিস্থিতিতে ফের নিট পরীক্ষা দিতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির ছাত্রী ফিয়োনা মজুমদার। মামলাকারী পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, পরীক্ষার দিন তাঁকে প্রথমে ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাঁকে বলা হয়েছিল, ওএমআর শিট নাকি বদল হয়ে গিয়েছে। এই আবহে পরীক্ষা শুরুর পরও প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই ছেঁড়া ওএমআর শিট বদল করা হয়নি। সময় নষ্টের পরে সেই ছেঁড়া উত্তরপত্রেই পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল ফিয়োনাকে। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ৩০𓂃০ কোটি 'হাওয়া' করল সরকার, অꦉবশেষে বেতন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত CM-এর)
আরও পড়ুন: ৪ দফার বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি কর্মীদের, অপরদ🐟িকে বেতন বﷺাড়াতে কমিশন গঠন রাজ্যের
আরও পড়ুন: বিবাদী বাগে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের পিছনে বহুতল🦋ে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই গোটা তলা
এই আবহে ফের একবার নিট পরীক্ষায় বসার জন্যে আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পানিহাটের এই পরীক্ষার্থী। শুক্রবার তাঁর করা সেই আবেদন গ্রহণও কের উচ্চ আদালত। তবে সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও রায় দেয়নি হাই কোর্ট। বরং ফিয়োনাকে এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেয় উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, নিট পরীক্ষা নিয়ে একাধিক মামলা বর্তমানে শীর্ষ আদালতে আছে। এই আবহে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ করে বলে, পুনরায় নিট পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এই আবহে হাই কোর্ট কোনও নির্দেশ দেবে না। অবশ্য এক বছরের জন্য ওই পরীক্ষার আসল ওএম🐻আর শিট এবং পরীক্ষা হলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
এর আগে পরীক্ষার দিনের ঘটনার কথা 🥀জানিয়ে ফের পরীক্ষা দিতে চেয়ে এনটিএর দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফিয়োনা। কিন্তু এনটিএ তাঁর দাবি মানতে চায়নি। এরপরই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এনটিএর কাছে বক্তব্য জানতে চান। এদিকে এনটিএর তরফে পুরো অস্বীকার করা হয় ঘটনাটি। এনটিএ জানিয়ে দেয়, ওই ওএমআর সিট স্ক্যান করা হয়ে গিয়েছিল বলে তা বদলানো যায়নি। তবে সেই ওএআর শিট ছেঁড়া ছিল না। দেড় ঘণ্টা হলে বসিয়ে রাখার কথা যেটা বলা হয়েছে সেটা ঠিক নয়। হয়তো কয়েকমিনিট সময় তার নষ্ট হয়েছিল। এরপর বিচারপতি ওই হলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চান। সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি।