৩ লাখ টাকা চাই, বদলে মিলবে ল্যাপটপ, মোবাইল সমেত চাকরি! তাও আবার রিলায়েন্স জিওতে! এই প্রতারণার ফাঁদে ফেলেই ৩৩ জনকে ভুয়ো অফার লেটার দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতারণাকাণ্ডের মূল পাণ্ডার পাত্তা পাওয়া যায়নি প্রাথমিকভাব♛ে। অপরিচিত প্রতไারকের বিরুদ্ধে নভি মুম্বই পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে মামলা। রিলায়েন্স জিওর তরফে দায়ের করা হয়েছে মামলা।
প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল রিলায়েন্স জিওতে চাকরির। তার বদলে চাওয়া হয় ৩ লাখ টাকা। এদিকে, টাকা যাঁরা দিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের কাছে আসে অফার লেটার। লেটার হেড-এ সংস্থার লোগোও রয়েছে! এত পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তবে পরে দেখা যায় লোগো ও লেটার হেড ভুয়ো! চাকরি প্রার্থীরা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসে। অন্তত ৩৩ জন এমন চাকরিপ্রার্♊থীকে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ দায়ের করে খোদ রিলায়েন্স জিও। তিন মাসে টানা ৩৩ জন এমন চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। ঘটনার শিকার হওয়া চাকরি প্রার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে ইমেলে 'অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার' ও এসেছে। সেই নিয়োগপত্র বা 'অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার' দেখার পর চমকে ওঠেন অনেকেই। নিয়োগপত্রে লোগো আপাতভাবে হুবহু রিলায়েন্স জিওর। তবে খতিয়ে দেখলে চোখে পড়বে পার্থক্য। এছাড়াও সংস্থার ট্রেডমার্কও সেই চিঠিতে দেখা যায়। এই গোটা কাণ্ড তিন মাস ধরে চলার পর শেষেমেশ মুম্বইয়ের রাবালে পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেন সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজার সুধীর নায়ার। সুধীর নায়ার বলেন, ‘ অভিযুক্তরা শুধুমাত্র কোম্পানির ট্রেডমার্ক এবং লোগোই কপি করেনি বরং ইমেল আইডিও তৈরি করেছে যা দেখে মনে হচ্ছে তারা সংস্থারই কেউ।’
সংস্থার ম্যানেজার সুধীর নায়ার বলছেন, ‘সংস্থা চাকরির প্রস্তাব দেওয়ার জন্য কোনও প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা চায় না বা তারা সরাসরি ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে কারও সাথে যোগাযোগ করে না।’ পুলিশ🔯কে সংস্থা জানিয়েছে যে, কোনও প্রার্থীকে যদি চাকরি দেয় রিলায়েন্স জিও, তাহলে তা এম্প্লই আইডি থাকে। আর কারোর থেকে টাকা নেওয়ার বদলে চাকরি দেয় না সংস্থা। এদ🐼িকে, জানা গিয়েছে, ওই প্রতারক সংস্থা চাকরি প্রার্থীদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ দিয়েছে। তার বিনিময়ে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। মুম্বই পুলিশ এখনও জানতে পারেনি কারা এর নেপথ্য়ে রয়েছে। তবে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, তারা সাইবার সেলের সাহায্যে এই তদন্তের সমাধান করতে চান। পুলিশ জানিয়েছে, ‘নিশ্চিত করার জন্য, তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লিখিত অফিসিয়াল যোগাযোগ নম্বর এবং ইমেল আইডিগুলির সাহায্যে যাচাই করতে চাওয়া হচ্ছে।’