পাকিস্তান সীমান্ত থেকেও ভারতের বেশ নজর চিনা সীমান্তে। এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে সম্প্রতি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সম্পর্কে চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন যে সীমান্তে অন্যায় সহ্য করা হবে না। এই আবহে এবার ভারতীয় সেনাবাহিনী লাদাখ সেক্টর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনাবাহিনীর ছয় ডিভিশন সৈন্যকে স্থানান্তর করেছে। তবে দুই বছরের বেশি সময় ধরে সৈন্য বদলির প্রক্রিয়া চলছে। এএনআই তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত ৩৫ হাজার সেনাকে চিন সীমান্তে স্থানান্তর করা হয়েছে।এএনআই ঊর্ধ্বতন সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে গত দুই বছরে চিন সীমান্তে প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মোতায়েন হওয়া সেনা দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবিরোধী ভূমিকায় সক্রিয় ছিল। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ডিভিশনকেও জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরিয়ে লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ডিভিশন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে, তেজপুর-ভিত্তিক গজরাজ কোরের অধীনে অসম-ভিত্তিক ডিভিশনকে সরিয়ে নিয়ে উত্তর-পূর্বে চিনা সীমান্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চিন একতরফাভাবে ভারতীয় পোস্টের কাছে বিপুল সংখ্যক সৈন্য সরিয়ে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। তবে ভারত সেনা মোতায়েনের পর সীমান্তে ভারসাম্য ফিরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাকিস্তান সীমান্তের চেয়েও এখন চিন সীমান্তে চ্যালেঞ্জ বেশি। এবং এই পরিস্থিতির কারণেই এত বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে চিনা সীমান্ত বরাবর।সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে বলেছিলেন যে LAC-তে কোনও ‘ভুল’ পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না। দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেনাপ্রধান চিনকে স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা অন্য পক্ষের সাথে কথা চালিয়ে চলমান সমস্যার সমাধান খুঁজে পাব।’ তবে একই সাথে তিনি এও বলেছেন যে LAC-তে অন্যায় পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরে আমরা চিন সীমান্তে ব্যাপকভাবে সেনা মোতায়েন করেছি এবং সুরক্ষা জোরদার করেছি।’