অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নিয়ে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সেই নির্দেশ পুনর🐟ায় বিবেচনা করার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। এবার সেই মামলায় শুনানিতে রাজি হয়েছে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ। সেই বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এবারের শুনানিতে ফল কী দাঁড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই।
এদিকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনী আইন ২০১৯কে বজায় রেখেছিল। সেই আইন অনুসারে জেনারেল ক্যাটাগরিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য় ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। সেই আইনকে বজায়❀ রেখে সেই সময় দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল এই আইন সংবিধানের যে প্রাথমিক কাঠামো তাকে কোনওভাবে নষ্ট করছে না।
সেই সময় প্রধান বিচারপতি ছি💝লেন ইউইউ ললিত। উচ্চশিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সেই সময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রায় সাতদিন ধরে এই মামলার শুনানি চলেছিল। এদিকে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল EWS Reservation কোনওভাবেই সংবিধানের সার্বিক কাঠামোতে কোনওভাবেই আঘাত করবে না।
অ্য়াটর্নি জেনারেল বেনুগোপাল সেই সময় এই সংরক্ষণের নানা সুফলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, এই অর্থনৈত🐽িকভাবে পিছিয়ে পড়াদের সংরক্ষণের মাধ্যমে আদপে ৫০ শতাংশ কোটার যে সংরক্ষণ রয়েছে তাকে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। তিনি সেই সময় জানিয়েছিলেন, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি এসসি, এসটি ওবিসিদের মধ্য়েও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি রয়েছে। আবার সাধারণ ক্যাটাগরির মধ্য়েও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ারা রয়েছেন। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মধ্য়ে সংরক্ষণের যে কোটা তার মধ্য়ে অনেকটা ফারাক রয়েছে।
তবে এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আর সেই আবেদনের শুনানিতে রাজি হয়েছ🏅ে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। আবেদনে আগের নির্๊দেশ ফের বিবেচনার জন্য় আবেদন করা হয়েছিল।