প্রায় ৫০০ কেজি পচে যাওয়া ফ্রোজেন মুরগির মাংস মজুত করার জন্য কেরলে গ্রেফতার হল এক যুবক। জানা গিয়েছে, পড়শি রাজ্য তামিলনাড়ু থেকে এই ৫০০ কেজি মাংস কিনে নিয়ে এসেছিল সেই যুবক। বিভিন্ন হোটেল এবং বেকারিগুলিতে সরবরাহ করার জন্যই এই মাংস রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত জুনাইসকে মালাপ্পুরম জেলার পোন্নানিতে তার আস্তানা থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতেই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে জুনাইসকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। পরে মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। (আরও পড়ুন: নেতাজিকে 'সন্ত্ཧরাসবাদী' সম্বোধন গꦕুজরাটের বিজেপি বিধায়কের, পরে দিলেন কোন সাফাই?)
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জুনাইসকে জেরা করে তারা জানতে পেরেছে যে বিগত ২ বছর ধরেই এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সে। অর্থাৎ, কোভিডের পর থেকেই গত প্রায় ২৪ মাসে সে মালাপ্পুরম জেলার বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং বেকারিতে এই পচে যাওয়া মাংস বিক্রি করেছে। এবং সেই ম🦋াংস দিয়ে তৈরি নানান পদ পেটে গিয়েছে অন্তত কয়েক হাজা𝓡র মানুষের। জানা গিয়েছে, কালামাসেরি পৌরসভাতে এর আগে জুনাইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। অনেকেই অভিযোগ করেছিল যে ফ্রিজে বিপুল পরিমাণ মাংস মজুর করে রাখা হয় জুনাইসের বাড়িতে। সেখান থেকে প্রতিনিয়তই দুর্গন্ধ বের হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: শജ্রদ্ধা খুনের অজানা তথ্য প্রকাশ্যে, আফতাবের নামে ৬৬২৯ পাতার চার্জশিট পেশ ෴পুলিশের
গত ১২ জানুয়ারি জ🌊ুনাইসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি ফ্রিজার থেকে মুরগির মাংস, মুরগি ভাজাতে ব্যবহৃত উপকরণ এবং 'শওয়ার্মা' তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়। জুনাইস কোনও লাইসেন্স ছাড়াই সেখানে মাংস সরবরাহের ব্যবসা করছিল। তার সরবরাহ করা এই পচা মাংস দিয়েই বহু রেস্তোরাঁয় চিকেন ফ্রাই থেকে শুরু করে শওয়ার্মা তৈরি হত বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সম্প্রতি, কেরলের এক স্থানীয় রেস্তোরাঁয় আমিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক নার্সের। এরপরই কেরল সরকারের তরফে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে।