তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলে শনিবার রাতে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’। তার ফলে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধস নেমেছে বেশ কিছু জায়গায়। তিরুভান্নামালাইতে ভূমিধসের ফলে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে একটি পরিবারের একাধিক সদস্য। ওই পরিবারের সদস্যরা ভূমিধসের কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই পরিবারের দুজন শিশুসহ ৭ জন চাপা পড়ে🦂ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পরে রবিবার রাত থেকে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে প্রশাসন। এছড়াও ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি–সিকিমের পথে নামল ভয়ঙ্কর ধস, মূল🦹 লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন
জানা গিয়েছে,পরিবারটি তিরুভান্নামালাইয়ের আন্নামালাই পাহাড়ের কাছাকাছি ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের দাপটে অবিরাম ভারী বর্ষণের ফলে রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা হলেন- রাজকুমার, তার স্ত্রী মীনা, তাদের দুই সন্তান এবং মীনার ভাইয়ের তিন সন্তান। জানা যাচ্ছে, পরিবারটি তিরুভান্নামালাইয়ের ভিওসি নগরের ১১ নম্বর স্ট্রিটে থাকত। ভূমিধসের সঙ্গেসঙ্গে প্রতিবেশীরা পুলিশ ও দমকলকে খবর দেয়। ক💫িছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে তখনও তিরুভান্নামালাইকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জেলাশাসক ডি বাস্কারা পান্ডিয়ান, পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি উদ্ধার অভিযানের তদারকি করেন। জানা যাচ্ছে, সোমবার সকাল থেকে।সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।
জেলাশাসক পান্ডিয়ান জানান, ধ্বং🔯সস্তূপের নিচে পরিবারের কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা জানার জন্য পরিবারের সদস্যদের ফোন করা হয়। তবে ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, ৭ জন মাটির নিচে চাপা পড়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। মাটি সরানোর পর সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রবল বৃষ্টির ফলে অন্নামালাই পাহাড়ের পাদদেশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড় থেকে পাথরের চাঁই পড়ে ৩টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখনও রাজ্যটিতে ৯ জনের 🌸মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জেলায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। কুড্ডালোর, ভিঝুপুরম এবং তুল্লুকুরিথির অনেক জায়গা জলমগ্ন হয়েছে। পুদুচেরির অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন র༺য়েছে। সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে।