আরজি কর মামলায় এদিন সন্দীপ-পক্ষ, অভিজিৎ পক্ষ ও সিবিআই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে কোর্টে সওয়াল জবাব তুঙ্গে থাকে। শেষমেশ এদিন কোর্ট, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ✅ মণ্ডলকে আরও বেশ কিছু দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে এই আরজি কর দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকতে হবে।
আদালতে অভিজি💛ৎ মণ্ডলের আইনজীবা দাবি করেন, জেল হেফজতে নেওয়ার প্রয়োজন কি.. কোনও নতুন তথ্য সিবিআই দেখাতে পারেনি। এদিকে, সিবিআই দাবি করে এখনই এঁদের জামিন দেওয়ার দরকার নেই, জামিন দিলে, তথ্য প্রমাণ নষ্টের সম্ভাবনা থাকে। এর পাল্টা বক্তব্যে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বলেন, তদন্তকারীরা বারবার তথ্য প্রমাণ নষ্টের কথা বলছেন, এতদিন কোথায় কোন তথ্য নষ্ট হয়েছে, তার কিন্তু কোনও জবাব নেই। অন্যদিকে, অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, সিবিআই দাবি করছে,𓆉 জামিন দিলে পালাতে পারেন তাঁর মক্কেল, এরপর অভিজিতের আইনজীবী বলেন,'সরকারি চাকুরের পালানোর বিষয় নেই।' এদিকে, যুক্তি খণ্ডন করে দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
( Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভ ২০২৫ কবে থেকে শুরু? মাঝে পড়🧸ছে বহু শুভ তিথি, রইল পূণ্যস্নানের তারিখ)
আরজি কর কাণ্ডে দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ উঠেছিল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এদিকে, কিছুদিন আগেই সন্দীপ ঘোষ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ও কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে তৈরি করে সিবিআই। সেটিতে রাজ্যের তরফে সম্মতি এসেছে না আসেনি, নিয়ে কিছু দিন আগে পর্যন্তও জল্পনা ছিল, এই নিয়ে এক নামি মিডিয়ায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়। ৮০ পাতার এই চার্জশিট নিয়ে রাজ্যের কাছে একটি চিঠি দিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়। কৌতূহল হতেই পারে এক্ষেত্রে রাজ্যের সম্মতির আইনি বিষয়টি নিয়ে। বহু আইনজীবীর দাবি, সন্দীপ ঘোষ সরকারি আধিকারিক। সেক্ষেত্রে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার জন্য রাজ্যের সম্মতি প্রয়োজন। চার্জশিটে রাজ্যের সম্মতি না থাকলে, তা বিচারক নাও গ্রহণ করতে পারেন ব♓লে একাংশের মত ছিল। আর চার্জশিট আদালত গ্রহণ না করলে, মামলার চার্জ গঠন ও বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে দেরি হতে পারে, বলে মনে করেন বহু আইনজীবী।