দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির নিয়ম আরও কঠোর করল 'সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এ⭕ডুকেশন' (সিবিএসই) কর্তৃপক্ষ।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দু'টি শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসতে গেলে এবার থেকে পরীক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ন্যূনতম উপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশ থাকতেই হবে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত সিবিএসই পরিচালিত স্কুলগুলির অধ্যক্ষ এবং প্রধান শিক্ষকদের ✱নি🗹র্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
সেই নির্দেশিকায় স্পষ🐟্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে শিক্ষার্থীদের শ🍨্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশের কম থাকবে, তাদের ২০২৫ সালের আসন্ন দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
এই নির💧্দেশিকায় পরীক্ষা উপ-আইনের ১৩ এবং ১৪ নম্বর মেনে চꦏলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যে নিয়মে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য় শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
তবে, নিয়ম কঠোর করা হলেও বিশেষ ꦆকিছু ক্ষেতജ্রে তা লঘু করা হতে পারে। যেমন - কোনও পড়ুয়া যদি অসুস্থ থাকে, কিংবা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যায়, তাহলে সেই সমস্ত পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশের উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না।
যদিও এই বিশেষ সুবিধা পেতে গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে তথ্যপ্রমাণ ও নথি জমা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হারের উপর꧑ সর্বাধিক ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের এই নয়া নিয়ম সম্পর্কে অবহিত করে। যাতে পরে এ নিয়ে কোনও সংশয় বা♔ সমস্যা তৈরি না হয়।
একইসঙ্গে, সিবিএসই-র পক্ষ থেকে তাদের অধীনে থাকা স্ক🅠ুলগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। তাদের জানানো হয়েছে🅺, প্রত্যেকটি স্কুলে শ্রেণিকক্ষে পড়ুয়াদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে কিনা, তা দেখার জন্য আকস্মিক পরিদর্শন করা হবে।
সেই সময় যদি দেখা যায়, কোনও পড়ুয়া যথাযথ নথি প্রদর্শন না করেই স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছে, তাহলে সেই অনিয়মের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবে। পাশাপাশি, যে পড়ু😼য়ারা এমন কাণ্ড ঘটাবে, তাদের বোর্ড পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রেও এই ঘটনা বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
এই বিষয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নির্দিষ্টভাবে আরও বলা হয়েছে, 'স্কুলের অ্য়া꧃টেনডেন্স রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখার জন্য বোর্ডের তরফ থেকে সারপ্রাইজ൩ ভিজিট করা হতে পারে। সেই পরিদর্শনের সময় যদি দেখা যায়, সেই রেকর্ড অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, অথবা সেই স্কুলের পড়ুয়ারা নিয়মিত স্কুলে আসছে না, তাহলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হতে পারে। এমনকী, তাদের অনুমোদন বাতিল পর্যন্ত করা হতে পারে।'
সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা♕বর্ষের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত কতজন পড়ুয়া স্কুলে উপস্থিত থেকেছে, তারা প্রতিদিন স্কুলে এসেছে কিনা, সেই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবং এই তথ্য একবার জমা নেওয়া হলে তা আর সংশোধন করা যাবে না।
তবে, কোনও স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার নিয়ে সমস্য়া থাকলে, সেই সমস্যার♉ কথা লিখিতভাবে জানানো হলে, সেই স্কুলগুলিকে বোর্ডের পক্ষ থেক♕ে সহায়তা করা হবে। সমস্যা সমাধানে তাদের 'স্ট্য়ান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর্স' বা এসওপি সরবরাহ করা হবে।