নিখোঁজ প্রতিরক্ষা আধিকারিক সহ ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধবন্দি মিলিয়ে ৮৩ জন ভারতীয় এখনও পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেন। পাকিস্তান থেকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন এই সমস্ত বন্দিরা। সম্প্রতি পাকিস্তানের জেলে বন্দির মুক্তি নিয়ে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্র।বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে জানানো হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে এই ৮৩ জনের মুক্তি চেয়ে গত বছরের ৮ মার্চ পাকিস্তানের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এনিয়ে ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনারের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বন্দিদের যাতে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে পাক সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, যে ৮৩ জন পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেন তার মধ্যে ৬২ জনকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বন্দি করা হয়েছিল। বাকি যে ২১ জন প্রতিরক্ষা আধিকারিক রয়েছেন তারমধ্যে ১৯৯৬ সালে একজন ক্যাপ্টেন-সহ ভারতীয় সেনার ৫ জওয়ানকে বন্দি করেছিল পাকিস্তান। ১৯৯৭ সালে আরও দু'জন ভারতীয় সেনা জওয়ানকে বন্দি করেছিল পাকিস্তান। যার মধ্যে একজন হলেন ক্যাপ্টেন সঞ্জিত ভট্টাচার্য। ১৯৯৭ সালে গুজরাটের ভারত পাকিস্তান সীমান্ত থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলে। এছাড়া আরও ১৫ জনকে বন্দি করেছিল পাকিস্তান।বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে ক্যাপ্টেন সনজিতের মায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে। তাঁর ৮৪ বছরের মা কমলা ভট্টাচার্য ছেলেকে দেশে ফেরানোর জন্য কেন্দ্র সরকার যাতে ব্যবস্থা নেই সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। তার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট বিদেশমন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিল এরকম কতজন ভারতীয় প্রতিরক্ষা আধিকারিক পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছে? সেই সংক্রান্ত হলফনামায় ৮৩ জন ভারতীয় প্রতিরক্ষা আধিকারিকের জেলবন্দি থাকার কথা জানায় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এই সমস্ত বন্দিদের মুক্তির জন্য নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিদেশমন্ত্রক। রীতিমতো ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এবং গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।