সারা বিশ্বের মতো ভারতেও কোভিডে সিংহভাগ যারা মারা গিয়েছেন, তারা বয়স্ক নাগরিক। এখনও পর্যন্ত দেশে কুড়ি হাজারের বেশি মানুষ কোভিডে মারা গিয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত ৪৫ বছরের বেশি বলে সরকারি তথ্যে জানা গিয়েছে। সারা বিশ্বেই দেখা গিয়েছে বয়স্ক লোকদের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি করোনা থেকে। সেই ট্রেন্ডের ব্যতিক্রম নয় ভারতও। তবে যে বিপুল সংখ্যক বয়স্ক মানুষ মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে কতজন কোমর্বিডিটির শিকার হয়েছেন বা কত শতাংশ নারী ও পুরুষ, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৭.৯৪ লক্ষ মানুষ। মারা গিয়েছেন ২১৫৭৭ জন। যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ হলেন ৪৫ বছরের উর্ধ্বে। ৬০-৭৫ বছর বয়স্কদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ৩৯ শতাংশ মানুষ মোট মৃত্যুর। এটা মাথায় রাখা দরকার জনসংখ্যার মাত্র আট শতাংশ হল ৬০-৭৫-এর মধ্যে। সেই নিরিখে মৃত্যুহার যে অনেকটাই বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতের মাত্র ২ শতাংশ জনসংখ্যা ৭৫-এর ওপর। কিন্তু মোট মৃত্যুর ১৪ শতাংশ হচ্ছে এই বয়সীরা। অন্যদিকে এক তৃতীয়াংশ ভারতীয় ১৪ বছরের কম বয়সী। মোট কোভিড মৃত্যুর মাত্র এক শতাংশ এই বয়সী। মোট মৃতের ১১ শতাংশ মানুষ ৩০-৪৪ বছর বয়সী।পয়লা মে-র পর এই প্রথমবার বয়সভিত্তিক কোভিডে মৃত্যুর শতাংশ প্রকাশ করল কেন্দ্র। সেই সময় অবধি প্রায় সবাই যারা মারা গিয়েছিলেন তারা সিনিয়র সিটিজেন ছিলেন। সেই পরিসংখ্যানে এখন অনেকটা বদল হয়েছে। মধ্যবয়সী অনেকে মারা গিয়েছেন যারা বিভিন্ন কোমর্বিডিটিতে ভুগছিলেন। এই মুহূর্তে প্রতি দশ লক্ষ মানুষে ৫৩৮ জন করোনা আক্রান্ত। ৮০ শতাংশ কোভিড কেস দেশের ৪৯টি জেলায় সীমাবদ্ধ। এই জন্যেই দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে, সেটা বলা চলে না বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি। সুস্থ হয়ে মানুষ দ্রুত বাড়ি যাচ্ছেন বলে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা তেমন বাড়েনি বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি। কেন ১৫ অগস্টের মধ্যে টিকা বানানোর ডেডলাইন দেওয়া হল, সেই প্রসঙ্গে আইসিএমআরের যুক্তি যে তারা একটু তাড়া দিচ্ছেন যাতে তাড়াতাড়ি টিকা পাওয়া যায়। দুই বছর পর টিকা পেলে তো আর কোনও লাভ হবে না বলে জানান আইসিএমআর আধিকারিক।