জো বাইডেনকে উদ্ধার করেছিলেন ২০০৮ সালে, তালিবানি শাসন থেকে আজ সেই আফগানকে উদ্ধার করল না আমেরিকার সেনা। তালিবানি রক্তচক্ষুর সামনে মার্কিনি উপেক্ষার শিকার মোহাম্মদ (নিরাপত্তার কারণে পুরো নাম দেওয়া হয়নি)। ২০০৮ সালে মার্কিন সেনেটর থাকাকালীন আফগানিস্তান সফরে গিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেখানে তুষারপাতের জন্য পূর্ব আফগানিস্তানে আটকে পড়েছিলেন জো বাইডেন। তাঁর ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারটি উড়তে পারছিল না। সেই সময় বাইডেনের পাশাপাশি ডন কেরি-ডি, চাক হেগেলদের উদ্ধার কাজে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন মোহাম্মদ। সম্প্রতি ১৩ বছর আগের সেই দিনের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।৩০ অগস্ট রাতে যখন শেষ মার্কিন সামরিক বিমানটি উড়ে যায় কাবুল বিমান্দর ছেড়ে। সেই সময় কয়েক হাজার আফগানের মতো মোহাম্মদও অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবে যান। স্পেশাল ইমিগ্রেশন ভিসা থাকা সত্ত্বেও তালিবানি শাসন থেকে তিনি তাঁর পরিবারকে নিয়ে পালাতে পারেননি আফগানিস্তান ছেড়ে। শুধু মোহাম্মদই নয়, তাঁর মতো আরও প্রায় ৮২ হাজার স্পেশাল ইমিগ্রেশন ভিসা হোল্ডার আফগানদের পিছনে ফেলে দিয়ে আফগানিস্তান ছেড়েছে আমেরিকা। তালিবানের বিরুদ্ধে এঁরা আমেরিকাকে সাহায্য করেছিলেন গত দুই দশক ধরে। তবে আজ তাঁদের ভুলে গিয়ে তালিবানের হাতে তুলে দিয়েই প্রায় পালিয়েছে আমেরিকা।২০০৮ সালে যখন বাইডেনরা তুষারপাতে আটকে গিয়েছিলেন। তখন মার্কিন সেনার সঙ্গে হামভিতে চড়ে পাঁচ ঘণ্টা পথ অতিক্রম করে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ। সেই মোহাম্মদই জো বাইডেনের কাছে কাতর আবেদন করেন, 'হেলো মি. প্রেসিডেন্ট, আমাকে এবং আমার পরিবারকে দয়া করে বাঁচান। আমাকে এখানে ভুলে যাবেন না।'১৫ অগস্ট তালিবান কাবুল দখলের পর লক্ষাধিক আফগানের মতো বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদও। সেখানে তখন তাঁকে ফিরিয়ে দেয় মার্কিন সেনা। পরে মোহাম্মদকে বলা হয়, সে একা যেতে চাইলে পারবে, তাঁর স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে তিনি সে যেতে পারবে না! মার্কিন সেনার পুরোনো সব রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবানের সঙ্গে প্রায় ১০০টিরও বেশি গুলির লড়াইতে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ।উল্লেখ্য, ১৪ অগস্ট থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার জনকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করেছে আমেরিকা। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। তবে মার্কিন ভইসা থাকা কয়েক হাজার আফগান এবং ২০০ থেকে ৩০০ মার্কিন নাগরিক এখনও আফগানিস্তানেই আটকে রয়েছেন।