তালিবান আছে তালিবানেই! সংবাদ সম্মেলন করে মানবাধিকার, মহিলাদের অধিকার নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠীর মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদের গলায়। যদিও তার বক্তব🦂্যে 'শরয়িত আইনে'র উল্লেখ নিয়ে বজায় ছিল ধোঁয়াশা। এই সবের মাঝেই এবার তালিবানি অত্যাচারের লোম খাড়া করে দেওয়া বিবরণ শোনালেন আফগান আইনজীবী নিজলা আয়ুবী। বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করা এই আফগান সমাজকর্মী সদ্য সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তুলে ধরেন তালিবানি অমানবিক আচরণের উদাহরণ। তাতে তিনি জানান যে সম্প্রতি তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছে যে উত্তর আফগানিস্তানে এক মহিলার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তালিবান জঙ্গিরা। এই কাণ্ডের অজুহাত ছিল, সেই মহিলা নাকি বাজে রান্না করেন।
সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, 'তালিবান ﷽সাধারণ আফগান মহিলাদের দিয়ে জোর করে রান্না করাচ্ছে। অনেক মহিলাকে কফিনে বন্দি করে প্রতিবেশী দেশে পাচার করা হচ্ছে যৌনদাসীꦜ হিসেবে।' তিনি আরও বলেন, 'তালিবান বিভিন্ন পরিবারের উপর জোর দিচ্ছে যাতে তাদের পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে জঙ্গিদের বিয়ে দেওয়া হয়। আমি অন্তত তাদের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি সত্যি হতে দেখছি না। তারা নাকি দুই দিন আগেই বলেছিল যে মহিলারা কাজ করতে যেতে পারেন!'
এক কালে ম෴হিলাদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কারণে তালিবানের রক্তচক্ষুর সামনে পড়তে হয়েছিল নিজলা আয়ুবীকে। আয়ুবী জানান, তালিবান ক্ষমতা দখল করার আগে তিনি খুব গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তবে তালিবান ক্ষমতায় আসতেই সমাজের এক নগন্য বাস𝄹িন্দা হয়ে যান তিনি। সেই সময় প্রতিবেশীর চারবছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে যেতে হত আয়ুবীকে, কারণ তিনি মহিলা। একা বের হওয়ার 'অধিকার' তাঁর নেই।
কাবুল দখলের পরের দিনই টোলো নিউজে এক মহিলা সাংবাদিক এক তালিবানি নেতার সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন। যা দেখে অনেকে সেই সাংবাদিককে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন। আবার অনেক কট্টরপন্থী তুলে এনেছিলেন 'ভালো তালিবান' তত্ত্ব। তবে ফের তালিবানের মুখোশ খুলতে শুরু করেছে। এখনও সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়নি, তারই মধ্যে নিজেদের কথার খেলাফ করা শুরু করেছ কট্টরপন্থীরা। ইতিমধ্যেই মহিলা সাংবাদিকদের সংবাদ মাধ্যমে 🔜কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আফগানিস্তানে। আরটিএ পাস্তো টিভি চ্যানেলে কাজ করা এক আফগান মহিলা সাংবাদিক তথা সঞ্চালক শবনম খান দওরানকে তাঁর অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন। যে দেশে জাতীয় পতাকা তোলার জন্যে মরতে হয়, সেই দেশের শাসকদের নিয়ে সন্দেহ আগে থেকেই ছিল। এবার ধীরে ধীরে সেই শঙ্কা সত্যি বলে প্রমাণিত হচ্ছে।