বছর দশেক আগেও টাটার গাড়ির প্রতি সেই আকর্ষণ ছিল না আমজনতার। ইন্ডিগো, সাফারির জনপ্রিয়তা ছিল বটে। তবে টাটা মোটর্স বলতে মালবাহী গাড়িকেই সকলে প্রাধান্য দিত। তবে হিসেব পালটেছে। আধুনিক ডিজাইন, অসাধারণ সেফটি এবং রিফাইনমেন্টকে হাতিয়ার করেছে সংস্থা। আর তার জেরেই বাজার কাঁপাচ্ছে সংস্থা। দেদার বিক্রি হচ্ছে Tata Tigor থেকে Nexon। ইটি অটো রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে মারুতি সুজুকির তুলনায় টাটা গাড়ি-পিছু বেশি আয় করছে। প্রতিটি গাড়িতেই দারুণ লাভ!রিপোর্ট বলছে, টাটা মোটর্স ২০২১-২২ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গাড়ি প্রতি ৪৫,৮১০ টাকা করে লাভ করেছে। যা এই একই সময়ের মারুতি সুজুকির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম টাটা মোটর্স গাড়ি প্রতি লাভের নিরিখে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতাকে ছাড়িয়ে গেল।FY22-এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে টাটা মোটর্সের যাত্রীবাহী গাড়ি বিভাগের মার্জিন ৫.২ শতাংশ বেড়েছে৷ একই সময়ে মারুতির মার্জিন ৪.২ শতাংশে নেমে গিয়েছে।টাটা মোটর্সের বৃদ্ধির কারণ কী? একটু লক্ষ্য করে দেখুন। বর্তমানে, টাটা মোটর্সের যে কটা গাড়ি বিক্রি হচ্ছে, তার সব কটাই ২০১৬-র পরে লঞ্চ হয়েছে। টাটা তাদের পুরনো সব গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১৬ সালে টিয়াগো লঞ্চের মাধ্যমেই নতুন পথ চলা শুরু করেছে টাটা। সেই নয়া মন্ত্রেই মিলেছে সাফল্য। এর পরে সেই টেকনিকই পরের মডেলগুলিতে কাজে লাগিয়েছে সংস্থা। পর পর হিট হয়েছে টিগর, নেক্সন, হ্যারিয়ার, আলট্রোজ, নতুন সাফারি এবং পাঞ্চ।সুরক্ষার নিশ্চয়তাতাছাড়া সম্প্রতি মারুতির জনপ্রিয় সিডান ডিজায়ার লাতিন NCap ক্র্যাশ টেস্টে শূন্য রেটিং পেয়েছে। সেখানেই আবার টাটার গাড়ি ভাল রেটিং পেয়েছে। ফলে টাটার প্রতি আরও ভরসা বেড়েছে ক্রেতাদের।টাটা একমাত্র ভারতীয় ব্র্যান্ড যার তিনটি 5-স্টার রেটেড গাড়ি রয়েছে - নেক্সন, আলট্রোজ এবং পাঞ্চ।