এখন প্রত্যেক রাজ্যই বিমান পরিষেবার উপর বাড়তি জোর দিচ্ছে। কারণ একদিকে উন্নয়ন ঘটবে অন্যদিকে আয় বাড়বে। এই বিষয়টি নিয়ে বাংলা অনেক বেশি কাজ করছে। একাধিক বিমানবন্দর গড়ে তোলা থেকে শুরু করে বিমান পরিষেবা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে। এবার সেই পথেই হাঁটতে শুরু করল উত্তর–পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা। আগরতলার বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক 💫স্তরে পৌঁছে দিতে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমান চালানো হবে বলেও ঠিক হয়েছে। গোটা বিষয়টি এবার খতিয়ে দেখলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। কাজ কতদূর এগোলো।
এদিকে এই ꦛবিমান পরিষেবাকে চূড়ান্ত আকার দিতে ত্রিপুরার সচিবালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। যার নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরার মুখ্যসচিব এবং শীর্ষ অফিসারদের নিয়ে এই বৈঠক হয়। সেখানেই আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রুটে বিমান চালানোর অনুমোদন দিয়েছে ত্রিপুরার মন্ত্রিসভা। আর এটা বিশেষভাবে চান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি চান আগরতলা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করতে। তাই বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করার আগে সেখানে অভিবাসন কেন্দ্র করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সুতরাং একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে ত্রিপুরা।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এমন নির্দেশ পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আগরতলার বিমানবন্দরে উপযুক্ত পরিকাঠামো–সহ অভিবাসন কেন্দ্র গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার জন্য সেখানে অন্তত ১৭জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন ত্রিপুরা পুলিশ🐠ের ডিজি অমিতাভ রঞ্জনকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ পেয়ে তিনিও কাজ শুরু করেছেন। বিমানবন্দর নিয়ে সংশ্লিষ্ট বৈঠকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র এবং পরিবহন দফতরের অফিসারদের। যাতে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোয় কোনও ফাঁক না থাকে। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক💧ের নির্দেশ সঠিকভাবে পালন না হলে সাহায্য আসবে না।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের অপহৃত জয়ী প্রার্থী যোগ দিলেন তৃণমূলে,♌ মুর্শিদাবাদ দেখল ভয়ঙ্কর খেলা
এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে। সেগুলি মেনেই কাজ করতে বলা হয়েছে ওই দুটি দফতরের অফিসারদের। আর ত্রিপুরার মুখ্যসচিব জেকে সিনহা উপস্থিত ছিলেন ওই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে। তিনি বলেন, ‘আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান চালু করতে সমস্ত উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে রাজ্যের পরিবহন দফতর। মহারাজা বীর বি💧ক্রম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরকে।’