মদ্যপান, সহবাস থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা - এবার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না কোনওটাই। যা সেদেশে লাখ লাখ ভারতীয়ের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে চলেছে।শনিবার ব্যক্তিগত এবং ফৌজদারি আইনের ক্ষেত্রে একাধিক বড়সড় পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে। তাতে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহইয়ান। নয়া আইন অনুযায়ী, মদ্যপান করলে তা আর অপরাধ বলে বিবেচিত হবে না। মদ্যপান করা বা নিজের কাছে মদ রাখা বা লাইসেন্স ছাড়া অনুমোদিত অঞ্চলে মদ বিক্রির জন্য কোনও জরিমানা গুনতে হবে না বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে মদ্যপানের জন্য ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে। কম বয়সি কাউকে মদ বিক্রি করলেও শাস্তির কোপে পড়তে হবে।নয়া পরিবর্তনে 'অবিবাহিত সঙ্গীদের আইনি সহবাস'-এরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতদিন অবিবাহিত সঙ্গী বা সম্পর্ক না থাকা মানুষরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একই বাড়িতে থাকতে পারতেন না। তা অবৈধ বলে বিবেচিত হত। সেই নয়া নিয়মের ফলে সেদেশের বসবাসকারী ভারতীয়রা সুবিধা পাবেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। সেদেশে এমনিতেই ভারতীয়দের সংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখ।পাশাপাশি নয়া আইন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বসবাসকারীরা যে দেশে বিবাহ করেছেনন, সেখানকার আইন মোতাবেক বিবাহবিচ্ছেদ হবে। যৌথ সম্পত্তি এবং যৌথ অ্যাকাউন্টের বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে পারে আদালত। যে মৃত প্রবাসীরা উইল করে যাবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে সম্পত্তি বিষয়ের মামলার ফয়সালা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাগরিকত্বের উপর নির্ভর করে হবে। মৃত ব্যক্তি যে দেশের নাগরিক, সেই আইন কার্যকর হবে। আগের মতো শরিয়ত আইনে সেই মামলার বিচার হবে না।অন্যদিকে, আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার চেষ্টার নিয়মেও পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের আইন মোতাবেক আত্মহত্যার চেষ্টার দায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যেত। একইসঙ্গে পরিবর্তিত আইন অনুযায়ী, যদি কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা সাক্ষী আরবি না জানেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে একজন দোভাষীকে রাখতে হবে। আসামি এবং সাক্ষী আরবি না জানলে আদালতকে আইনি দোভাষী বন্দোবস্ত করতে হবে।যা ভারতীয়দের ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।