অবশেষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ইস্যু পৌঁছে গেল সংসদে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়ায় যে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ♑্যসভায় বাজেট অধিবেশন বয়কট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। সুর যেভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই সুরেই আজ, শুক্রবার সংসদে বাংলার রাজ্যপালকে নিয়ে আলোচনা চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। কিন্তু চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাব সম্মতি দেননি। তখনই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন সাংসদরা। কংগ্রেস এবং ডিএমকে’র সাংসদরাও এই প্রতিবাদে সামিল হন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট) পরিবর্তে নিজস্ব মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল পাশ করে এম কে স্ট্যালিনে꧒র নেতৃত্বাধীন তামিলনাড়ু সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল আর এন রবি বিলটিতে ছাড়পত্র দেননি। সেটা নিয়েই এদিন আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর সাংসদরা। একইসঙ্গে বাংলার তৃণমূল ক🍌ংগ্রেস সাংসদরাও জগদীপ ধনখড়ের নামে নালিশ জানান। রাজ্যপাল অনেক ফাইল আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন সুখেন্দুশেখর রায়–সৌগত রায়রা। কিন্তু চেয়ারম্যান রাজ্যপাল ইস্যুতে অনুমতি দেননি। তখন একযোগে ওয়াক আউট করার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে এবং কংগ্রেস সাংসদরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাজ্যপালকে অপসারণের আবেদন নিয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আবেদেন জানান তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি এই আবেদন ক🔯রেন। সেদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মহাশয় ওঁর বক্তব্য রাখার পর প্রথমসারিতে যাঁরা বসেছিলেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। তখনই সরাসরি ওঁকে বলি। আমি অনুরোধ করি, আপনি বাংলার রাজ্যপালকে সরিয়ে নিন। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য এটা ক্ষতি হচ্ছে। উনি সবসময় সকলকে বিব্রত করেন। রাষ্ট্রপতি মহাশয় শুনেছেন। বেঙ্কাইয়া নাইডুজিও ওঁর সঙ্গে ছিলেন।’
এই পরিস্থিতিতে রাজভবন–নবান্ন সংঘাত লেগেই রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই টুইটারে ব্লক করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। এমনকী প্রশাসনিক সভা থেকে পুলিশ সুপারকে রাজꦡ্যপাল ফোন করে বিরক্ত করছেন কিনা সে প্রশ্ন করেন। সেই নিয়ে আবার টুইট করেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে সংঘাত চরমে উঠেছে।