ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে সদ্য অবসর নেওয়া জাস্টিস প্রীতঙ্কর দিবাকর। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে হেনস্থা করতে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৮ সালে ছত্তিশগড় হাই কোর্ট থেকে বদলি করেছিল তৎকালীন কলেজিয়াম। জাস্টিন দিবাকরের জন্য আয়োজিত ফেয়ারওয়েলে এই বিস্ফোরক দাবি করেছিলে তিনি। অবশ্য বিদায়ী ভাষণে তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বস্তুত, বর্তমান প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামই জাস্টিস দিবাকরকে এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বসানোর সুপারিশ করেছিল। (আরও পড়ুন: ১৭ অক্টোবরের সুপ্রিম রায়ে বৈধতা পায়নি সমকামী বিবাহ,৩৭ দিন পর রিভিউতে সায় আদꦿালতের)
বিচারপতি দিবাকর বলেন, 'ছত্তিশগ✱ড় হাই কোর্ট থেকে আমার বদলি করা হয়েছিল আমার সর্বনাশ ডেকে আনতে। তবে তা শেষ পর্যন্ত আমার জন্য আশীর্বাদে পরিণত হয়েছিল। আচমকাই বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল। এরপর কোনও অজ্ঞাত কারণেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র আমার প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসার প্রদর্শন করে আমাকে এলাহাবাদ হাই কোর্টে বদলি করেছিলেন ছত্তিশগড় থেকে। এরপর আমি ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর এলাহাবাদে এসে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আমার সেই বদলির নির্দেশ অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তবে আমি আমার সহকারী বিচারক এবং বারের সদস্যদের কাছ থেকে অপরিমেয় সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন: কতটা বৈধ রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত আইন, 🍌খতিয়ে দেখতে পারে ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ
বিদায়ী ভাষণে বিচারপতি দিবাকর আরও বলেন, 'আমি ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ছত্তিশগড় হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি আশা করি, সবাইকে সন্তুষ্ট করে আমি সেই কাজ করতে পেরেছি🍸লাম। সব থেকে বড় কথা, আমি আমার নিজের অন্তরের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করেছিলাম।' উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকেই বিচারপতি দিবাকরকে এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বসানোর সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল বর্তমান কলেজিয়ামের তরফ থেকে। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছল এবং চলতি বছরের ২৬ মার্চ তিনি সেই পদে শপথগ্রহণ করেছিলেন।